লঞ্চে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়, মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি

জুন ১৪ ২০২৫, ০১:১৫

আরিফ হোসেন ॥ প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে কর্মস্থল রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের কর্মজীবী মানুষ গুলো। এতে করে শুক্রবার (১৩ জুন) বরিশাল নদী বন্দর ( লঞ্চঘাটে) যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

তবে সামনে আরো দুই-তিন দিন এ ভিড় থাকবে এবং আগামীকাল শনিবার আরো বাড়তে পারে যাত্রীদের চাপ এনমই ধারনা করছেন নদী বন্দরে থাকা লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

সরজমিনে লঞ্চ র্টামিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে চলাচল করা লঞ্চগুলোতে ধারন ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার ঢাকা-বরিশাল এ রুটে বিশেষ সার্ভিস হিসেবে থাকা লঞ্চ গুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরুপায় হয়ে কাজের তাগিদে পরিবার পরিজন নিয়ে নদীপথে ঢাকায় যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে বরিশাল নদীবন্দর থেকে রাজধানীর উদ্দেশে ছেড়ে গেছে সাতটি বিলাসবহুল লঞ্চ। কোনও লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টাও দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি পালনে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ কিংবা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কোনও ভূমিকা দেখা যায়নি।

অন্যদিকে করোনা সংক্রামণ রোধে যাত্রীদের মাস্ক পরার জন্য সর্তক করা হলেও যাত্রীরা তা ব্যবহার করছেনা। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ফিরে আসেনি এখনও।

ঢাকাগামী যাত্রী আমিন সরদার বলেন, ভিড় এড়াতে ছুটি শেষ হওয়ার আগেই কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছেন। কিন্তু বরিশাল লঞ্চ ঘাটে এসে ভিড়ের জন্য উঠতে প্রায় একঘন্টার বেশি সময় লেগেছে। পথে পথে ভোগান্তিতে পড়ে আরও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে আমাদের। বিউটি বেগম নামে এক নারী যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, লঞ্চ মালিকরা খাম খেয়ালি করছে।

বিআইডব্লিউটিএসহ কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি নেই। যাত্রীরা ভালোমন্দ বিচার না করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ গুলো র্টামিনাল থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। এ দিকে বিআইডব্লিটিএ এর তেমন কোন নজর নেই বলেই চলে। বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ঈদের বিশেষ সাভিংস হিসেবে শুক্রবার বরিশাল নদীবন্দর থেকে ১১ থেকে ১২ টি লঞ্চ প্রায় অর্ধলক্ষ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেস্যে নিদিষ্ট সময়ে ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের উপপরিচালক সেলিম রেজা। তিনি আরো বলেন, ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ ভাড়া সরকারি রেট অনুযায়ী নেওয়া হচ্ছে।

আগে ব্যবসায়ের জন্য লঞ্চ মালিকরা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম নিত। এখন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছে। তবে অভ্যন্তরীন রুটে যদি লঞ্চ ভাড়া বেশি আদায় করেছে প্রমানিত হলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লঞ্চ ভাড়া বেশি নেওযার কোনো সুযোগ নেই। কারন এখানে সব বাহিনীর সদস্যরা এবং বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং টিম পর্যবেক্ষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এদিকে নিরাপত্তার জন্য সর্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও