বরিশাল আব্দুল্লাহ্ দারুল কুরআন বহুমুখী মাদ্রাসা এতিমখানা
অর্থের অভাবে কষ্টে দিন কাটছে এতিম শিশুদের
নভেম্বর ১৭ ২০২৫, ২৩:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ গত এক বছর ধরে অর্থের অভাবে নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন যাচ্ছে বরিশাল নগরীর ১নং ওয়াার্ডের লাকুটিয়া সড়কের পশ্চিম কাউনিয়ায় অবস্থিত আব্দুল্লাহ্ দারুল কুরআন বহুমুখী মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে।
এতিমখানার পরিচালক হাফেজ মাওঃ জহিরুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, এক বছর ধরে এতিমখানায় এমন দিন যায় যে খাবার কেনার অর্থ থাকে না। এতে এতিমখানার এতিম-গরীব শিশুদের নিয়ে নানা সমস্যায় পরতে হচ্ছে । যে দিন কেউ অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন সেদিন এতিম-গরীব শিশুদের মুখে একটু ভালো খাবার তুলে দেওয়া সম্ভব হয়। আর যখন অর্থ না থাকে সেদিন এতিমদের মুখে ভালো খাবার জুটে না গত এক বছর ধরে।
কেন ভালো খাবার জুটে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংটি চলে মানুষের সাহায্যের টাকায়। কিন্তু গত একবছর ধরে মানুষ এতিমখানা তেমন একটা সাহায্যে না আসায় এই সমস্যার সম্মূখিন হতে হচ্ছে আমাদের। এ অবস্থা চলতে থাকলে এতিমখানা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। এতিম খানায় গেলে শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসার হুজুরদের মুখে এমন উদ্বেগের কথা শোনা যায়।
আবাসিক-অনাবাসিক মিলে প্রায় শতাধিক শিক্ষাথী রয়েছে মাদ্রাসাটিতে। তার মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক এতিম-গরীব শিশু রয়েছে। তাদের মুখে তিন বেলা খাবার দিতে হয়। শিশুদের নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন পরিচালক ও শিক্ষকরা। তাদের খাবার সরবারহের অর্থ জোগাড় করতে বর্তমানে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এতিমখানার পরিচালক জহিরুল আরো বলেন, এতিমখানা ও মাদরাসাটি তিনটি কক্ষ নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিমাসে মাদ্রাসার ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, শিক্ষক-খাদেমদের বেতনসহ অনন্য বিষয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মত ব্যায় করতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে প্রতিমাসে। টাকার জন্য এলাকার বিত্তবানদের দুয়ারে দুয়ারে হাত পেতে বেড়াচ্ছি। তবে তেমন কোন সাড়াও পাচ্ছি না তাদের। অনেক সময় পেটে ক্ষুধা থাকায় ছাত্রদের পড়া শোনায় মন বসে না। অপেক্ষায় থাকা লাগে কে কোন সময় সহায়তা নিয়ে আসে।
ওদিকে মাদ্রাসায় চাল-ডাল নেই। তাই কষ্ট করে দুপুরের খাবার দেয়া হলেও, রাতে কী হবে? এক সপ্তাহ ধরে এ অবস্থা চলছে । সরকারি সহায়তা কিংবা সামাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে আর্থিক দৈন্যতা অনেকটা দূর হতো। অন্য দিকে শীত আসছে। বিশেষ করে কম্বল কিংবা গরম কাপড়ের অভাবে মাদ্রাসা ও এতিমখানার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কষ্টে দিন যাচ্ছে। এরমধ্যে মাদ্রাসায় নেই কোন চাল,ডালসহ কোন প্রকারের খাবার।
তাই টেনশনেই আমার দিন পার হচ্ছে। এতিম-গরীব শিশুদের পাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে প্রয়োজন অর্থ, চাল, ডাল, খাবার সংকট থাকার কারনে বন্ধ হয়ে আছে মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়ন কাজ। অর্থের জন্য চিন্তায় রয়েছেন মাদ্রাসার পরিচালক জহিরুল ইসলাম। এক কথায় বলা যাচ্ছে বর্তমানে কষ্টে জীবন-যাপন করছে এতিমখানার এতিম-গরীব শিশুরা।
তাই সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এসে মাদ্রাসায় সহযোগীতা করলে গরীব-অসহায় এতিম শিশুদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটবে বলে দাবি তাদের। সাহায্য পাঠাতে সরাসরি অথবা মুঠো ফোনের মাধ্যমে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন। মাদ্রাসার পার্সোনাল বিকাশ নম্বর-০১৭১০৫৯২৮৪৬, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক,বরিশাল শাখাঃ মাদ্রাসার একাউন্ট নম্বর-০১০১১২০১৫৭৪৫৮।








































