আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে দোকান ঘর দখলের অভিযোগ
মে ২০ ২০২৩, ১৮:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক।। ঝালকাঠিতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে দোকান ঘর দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার বিকেল ৩টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে পৌরসভার সাবেক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। এ সময় পরিবারের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন,তাঁর দুই ভাই মোঃ লিটু, মোঃ শহিদ ও ছোট বোন রুমা ইয়াসমিন।
ফরিদা ইয়াসমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাদের বাবা মৃত আবদুল খালেক খলিফা। আমরা ওয়ারিশ সূত্রে ও ১৯৪২ সালে সাব কবলা দলিল মূলে শহরের পূর্ব চাঁদকাঠী চৌমাথায় দুটি দোকান নির্মান করে ভাড়া দিয়ে আসছি।
২০১৪ সালে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ সেই দোকান ঘর দুটি দখল করে নেয়।
সে আমাদের দুই ভাড়াটিয়া সেলিম ও পানুকে তাড়িয়ে দেয়। পরে দুটি দোকানে হাফিজ আল মাহমুদের ক্যাডার আল আমিন ও উদয়কে বসিয়ে দিয়ে ভাড়া আদায় করা যাচ্ছে। এতে বাঁধা দিতে গেলে আমার দুই ছোট ভাই ও ভাই লিটুর স্ত্রীকে মারধর করে হাফিজের সন্ত্রাসী বাহিনী।
শনিবার সকালে সেই দোকানঘর দুটি ভেঙে নতুন করে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ঘটনার পর আমরা ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো.শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনিরসহ সকল নেতাদের কাছে বিচার চেয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। একজন সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতার ভয়ে সবাই আমাদের ফিরিয়ে দেয়।
উক্ত সম্পত্তির স্বপক্ষে আমার বাপ-দাদার মালিকানাধীন দলিল, রেকর্ড, খাজনা দাখিলা, এ বিএস রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও ঝালকাঠির চিহ্নিত ভূমি দস্যু, সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান ও বিনা ভোটে নির্বাচিত ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান ও তাঁর বাহিনীর ক্যাডাররা অস্ত্র ও পেশী শক্তির বলে দখল করে রেখেছে।আমরা মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক আমির হোসেন আমুর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ বলেন, দোকানঘর দখলের অভিযোগসঠিক নয়। দোকান ঘরের অধিকাংশ সম্পত্তি তাঁদের চাচার কাছ থেকে আমি কিনেছি। তাঁরা দশমিক ১৬ বা সামান্য অংশ পেতে পারে। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য তাঁদেরকে একাধিকবার ডেকেছি। কিন্তু তাঁরা বসেনি।







































