এক বছরে দ্বিগুণ আটা-ময়দার দাম
নভেম্বর ০৮ ২০২২, ১১:০৯
তারা জানান, গেল ২০ বছরে বাংলাদেশে গমের চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। চাহিদার ৮০ শতাংশ গম আমদানি করতে হয়। এর অর্ধেক আসে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনার তথ্য বলছে, গত ৬ মাসে দেশে ১৪ দশমিক ১১ লাখ টন গম কম আমদানি হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, ডলারের দাম ওঠানামার কারণে অনেক ব্যবসায়ী ঋণপত্র খোলা কমিয়ে দিয়েছেন। এতে আমদানিও কমে গেছে।
এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ- টিসিবির পরিসংখ্যান বলছে, গত এক বছরের ব্যবধানে ৫০ শতাংশ বেড়েছে আটা ময়দার দাম। যদিও টিসিবির এই হিসাবের চেয়ে প্রকৃত বাজারের চিত্র ভিন্ন। পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, টিসিবির এই তথ্যের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে আটা-ময়দার দাম।
সোমবার সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১০ দিন আগে যে খোলা আটা প্রতিকেজি ৫০ টাকায় কিনতেন ক্রেতারা, যা গতকাল কিনতে হয়েছে ৬০-৬২ টাকায়। আর এই দশ দিনের ব্যবধানে প্যাকেটজাত আটাও কেজি প্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা। অসহায় ক্রেতাদের বাড়তি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে আটা-ময়দা। খোলা ময়দা প্রতি কেজি ৬৮-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোড়কজাত (প্যাকেট) আটার দামও বাড়ছে। দুই কেজির দাম বেড়ে হয়েছে ১২৬-১৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১১০-১১৫ টাকা।
মগবাজার এলাকার ক্রেতা সোহেল রানা বলেন, ‘এটা ঠিক হয়নি! আটা ময়দাকেও ছাড় দেওয়া হলো না। খুব কষ্টে জীবন-যাপন চলছে। এর মধ্যে চালের দামে বিক্রি করছে আটা ময়দা। মানুষ বাঁচবে কেমন করে!’
মগবাজার এলাকার বিক্রেতা মো. রাজিব আহমেদ বলেন, ‘ওপর মহল থেকে দাম বাড়ালে আমাদের কিছু করার থাকে না।’ কাঁটাবন এলাকার ক্রেতা আতিকুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষের শেষ ভরসা ছিল আটা ময়দা। কিন্তু সেই ভরসা আর থাকলো না।’
আর কাঁটাবন এলাকার বিক্রেতা মো. তারেক মিয়া বলেন, ‘বাজারে সব কিছুর দাম বাড়ছে। এরমধ্যে ৫৫ টাকার খোলা আটা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ৬০ টাকায়।’
তিনি বলেন, ‘আটার (৫০ কেজি) বস্তা ২৬০০ টাকা থেকে ২০০-৩০০ টাকা বেড়ে ২৮০০ টাকা থেকে ২৯০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এরকম যদি চলতে থাকে আমরা ব্যবসায়ীরা চলব কীভাবে? ক্রেতারাই চলবে কীভাবে?’
আটা-ময়দার চড়া দামের বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘অলরেডি বিশ্ববাজারে দাম কমতির দিকে। আমাদের আরও সময় লাগবে। কিছুটা গ্যাপ আছে, গ্যাপ পূরণ হলে আটা-ময়দার দাম কমবে বলে মনে করি। সূত্র: ঢাকা টাইমস







































