১০১ টাকা দেনমোহরে ইন্দোনেশিয়ার তরুণীকে বিয়ে করলেন ইমরান
মার্চ ০২ ২০২৩, ০০:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। দীর্ঘ সাত বছরের প্রেমের অবসান ঘটিয়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে করলেন পটুয়াখালীর বাউফলের মো. ইমরান হোসেন ও ইন্দোনেশিয়ার তরুণী নিকি উল ফিয়া।
বুধবার সকালে পটুয়াখালী জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিকুর রহমানের আদালতে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আদালতের আইনজীবী মো. আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ১০১ টাকা দেনমোহরে নিকিকে বিয়ে করেন ইমরান। স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম এই যুগলের বিয়ে পড়ান। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
মো. ইমরান হোসেন বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে নিকি উল ফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের মি. ইউলিআনতোর মেয়ে।
২০১৭ সালে প্রেমের টানে পটুয়াখালীর বাউফলের যুবক মো. ইমরান হোসেনকে বিয়ের জন্য বাংলাদেশের আসেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী নিকি উল ফিদা। ইমরানের বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় ওই সময় ফিরে যেতে হয় তাকে। পাঁচ বছর পর সোমবার রাতে বাংলাদেশ আসেন ওই তরুণী।
বুধবার সন্ধ্যায় খাজুরবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। উচ্চ শব্দে গান বাজছে, চলছে হলুদ বাটার কাজ। বর-কনে বসে আছেন। এলাকার মানুষ নব দম্পতিকে দেখতে ভিড় করছে। উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি মুখ করানো হচ্ছে।
মো. ইমরান হোসেন ও নিকি উল ফিয়া।
ইমরানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইন্দোনেশিয়ার নিকি উল ফিয়ার সঙ্গে ইমরানের পরিচয় হয়। পরিচয়ের মাধ্যমে বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ইমরানকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন নিকি উল ফিয়া। ইমরানের পরিবার থেকে কোনো আপত্তি না থাকায় ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন নিকি।
ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০১৭ সালে ইমরানের বয়স হয় ১৮ বছর। ২১ বছর না হওয়ায় আইনি জটিলতা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশে ফিরে যায় নিকি উল ফিয়া। তবে যাওয়ার সময় আমাদের বলেছিলেন, ইমরানের বয়স না হওয়া পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করব। আজ অপেক্ষার দিন শেষ।’
ইমরানের মা বিথী আক্তার বলেন, ‘ছেলের বউ বিদেশি হলেও সে মুসলিম পরিবারের মেয়ে। তার কথাবার্তা খুবই সাবলীল। সে আমার কাছে মেয়ের মতো হয়ে থাকবে।’
ইমরান বলেন, ‘নিকির সঙ্গে আমার যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। ধীরে ধীরে আমরা একে অপরের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হয়েছি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর শুভ পরিণয়। ভাবতেই ভালো লাগছে।’
আ/ মাহাদী







































