শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের পুরোটা জুড়েই যেন ইট-বালির স্তূপ!
ফেব্রুয়ারি ১৯ ২০২৩, ২০:৫৯
পটুয়াখালী প্রতিনিধি : শহীদ মিনারের সামনের বেদীর ওপর রাখা ইট। স্তম্ভ কাঠামোর কিছু অংশ ঢেকে গেছে সুরকিতে। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের পুরোটা জুড়েই ইট-বালির স্তূপ। এ চিত্র পটুয়াখালী সদরের শহীদ মিনারের। শহীদ মিনারটি পটুয়াখালী পৌর কার্যালয়ের পূর্ব পাশে অবস্থিত। পৌরসভার ভবন নির্মাণের সামগ্রী এভাবেই রাখা হয়েছে শহীদ বেদীর ওপরে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সারা বছরই অযত্ন-অবহেলায় অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকে শহীদ মিনারটি। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে একদিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়। প্রতি বছর শহীদ দিবসের আগে শুরু হয় ধোয়া-মোছা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। বছরের বাকি সময় শহীদ মিনারের ওপরে থাকে ময়লা-আবর্জনা। চারপাশে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়।
পটুয়াখালী বালিকা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা যাদের জন্য বাংলা ভাষায় কথা বলি তাদের সম্মানের স্থান শহীদ মিনার। পটুয়াখালীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ অন্যান্য শহীদ মিনারের ওপরে সারা বছরই ময়লা-আবর্জনা থাকে। শহীদ মিনারের দুই পাশ বেড়া দেওয়া। এটির চারপাশ উন্মুক্ত করা উচিৎ এবং পরিষ্কার রাখা দরকার।’
ভাষা সৈনিক এস এম আবুল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ অনেক শহীদ মিনারই অযত্ন-অবহেলায় রয়েছে। সেখানে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। এটা ভাষা সৈনিকদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। যখন আমি হাঁটা-চলা করতে পারতাম, তখন এর প্রতিবাদ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ মিনার ভাষা সৈনিকদের সম্মানের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলে শহীদ মিনার পরিষ্কার করলে হবে না সারা বছরই পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা সংগ্রামীদের নামসহ বোর্ড স্থাপনেরও দাবি জানাই।’
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর বলেন, ‘শহীদ মিনারের ওপরে নির্মাণসামগ্রী থাকাটা দুঃখজনক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ দাবি করেন, শহীদ মিনারটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। শহীদ মিনারের কাছে পৌরসভা ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। তাই হয়তো নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। তবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।







































