আগৈলঝাড়ায় একটি ভাঙ্গা সেতুর কষ্ট
জানুয়ারি ৩০ ২০২৩, ২১:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি বেহাল সেতুর কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। সেতুটির মাঝখানের অংশ ভেঙে পড়ে রয়েছে ছয় বছর ধরে। এর বেশ কয়েকটি সিমেন্টের তৈরি স্লাব ধসে যাওয়ায় এটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, যে কোনো মুহূর্তে এটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সেতুটির অবস্থান উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের হালিম সিকদারের বাড়িসংলগ্ন গুপ্তেরহাট-কুমারভাঙ্গা খালের ওপর। ২০০০ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়রা বলছে, নির্মাণের সময় সেতুটি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল। যার কারণে সেতুটির এ দশা।
এ সেতুটি চলাচলের অযোগ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী। বিকল্প যাতায়াত পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও পার হচ্ছে গ্রামবাসীসহ কোমলমতি শিশু-বৃদ্ধরা।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর দুপাশের সিমেন্টের তৈরি স্লাব ধসে যাওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। প্রতিদিনই সেতু পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে পথচারীরা। সেতুটি সংস্কারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসী চাঁদা তুলে তাদের নিজ অর্থায়নে কাঠ ও বাঁশ কিনে সাময়িকভাবে মেরামত করে। প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিনিয়ত সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ এলাকার মানুষ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের কারণে এখন কয়েকটি কাঠও ভেঙে গেছে। শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীর চলাচলের একমাত্র সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। এর খুঁটি, রেলিং ও ঢালাই স্লাব ভেঙে যাওয়ায় কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষ মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এটি পার হচ্ছে।
স্থানীয় রণজিৎ পাল বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে মাটির বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা হয়; কিন্তু বেহাল সেতুর কারণে কোনো ক্রেতা গাড়ি নিয়ে আসতে পারেন না। এতে আমাদের বেচাকেনা অনেক কমে গেছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী কালবেলাকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সংস্কারের জন্য বরাদ্দ পেলে দ্রুত এর কাজ শুরু করা হবে বলে আশা করছি।







































