বেতাগীতে স্বর্ণশোভিত আমের মুকুলে সৌরভ ছড়াচ্ছে
জানুয়ারি ২৭ ২০২৩, ১৮:৩৮
স্বপন কুমার ঢালী, বেতাগী ॥ ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। সবুজ-শ্যামল বাংলায় প্রকৃতির রূপ যেন অপরূপ। এদেশে প্রতিটি ঋতুরই আছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। ঋতুভেদে পত্র-পল্লবে, ফুলে-ফলে ভরে ওঠে গাছ-গাছালি। ফুল আর ফলের গন্ধে মন ভরে সবার। শীতের কুয়াশার চাঁদর বেঁধ করে উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে আম গাছগুলোতে দেখা মিলছে মুকুল। আমের শাখায় শাখায় বাতাসে দোল খাচ্ছে সেই সোনালী মুকুলদল। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে ঘ্রাণ মানুষের মনকে বিমোহিত করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আম বাগানের গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ।
চাষীরা জানাচ্ছেন, আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।
মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মুকুলে ভরে যাবে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। বাগানে বাগানে আম্রপালি, ল্যাংড়া ও ফজলি আমের ঘ্রাণ আর ঘ্রাণ। ইতোমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরো কয়েক সপ্তাহ লাগবে বলে জানান বাগান মালিকরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, উপজেলায় ৮-১০টি আমের বাগান আর সাত ইউনিয়নের গ্রামগঞ্জে বাড়িতে রয়েছে স্বাভাবিক আম গাছ। সব গাছই মুকুল আসতে শুরু করেছে । চাষীদের আগ্রহের কারণে এ উপজেলায় ক্রমশ: বাড়ছে বিভিন্ন প্রজাতি আমের চাষ।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন,’ কুয়াশা বেশি পড়লে আম মুকুলের ছত্রাক ও পোকার আক্রমনসহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন বেশি হবে।’
বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চাষি কৃষ্ণ কান্ত ঘরামী বলেন, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়মিত পরিচর্যা করা হচ্ছে।
আরেক চাষী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের রতন হাওলাদার বলেন, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এ অবস্থা থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইছা বলেন, আম বাগানগুলোতে মুকুলে ধরতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ভালো ফলন হবে।’







































