আমতলীতে ২ মাসেও সংগ্রহ হয়নি ১ কেজি ধান, লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৩৯৭ মেট্রিক টন
জানুয়ারি ০৯ ২০২৩, ১৬:৪১
অনলাইন ডেস্ক :: চলতি মৌসুমে বরগুনা আমতলীতে সরকারি ভাবে আমন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৯৭ মেট্রিক টন। সরকারিভাবে গত ১৭ নভেম্বর ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত ৫৭ দিন অতিবাহিত হলেও এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা। তবে কর্মকর্তার দাবি, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী নন।
জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৭ নভেম্বর থেকে সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা দরে এক হাজার ৩৯৭ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এ সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে। এ উপজেলায় পৌরসভা সহ ৭ টি ইউনিয়নে মোট ৭৯৭ জন কৃষক গুদামে ধান দিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এবার ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৯৭ মেট্রিক টন। এর বিপরীতে এখন পর্যন্ত এক ছটাক ধানও কিনতে পারেনি। সরকারি ভাবে প্রতি মণ ধান ১১শ ২০ টাকা ধার্য করা হয়েছিল। বাজারে মূল্য বেশি হওয়ায় লোকসান দিয়ে কৃষকরা গুদামে ধান সরবরাহ করছেন না। একারণে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে ধান চাল সংগ্রহে উপজেলা কমিটি থাকলেও তৃণমূলপর্যায়ে তাদের কোনো প্রচার প্রচারণা নেই। অনেক কৃষকরা জানেনি না ধান দেয়ার নির্ধারিত সময়।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমতলী উপজেলা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে নানা ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তি পোহাতে হয়। ধানের আর্দ্রতা পরিমাপের জটিলতা, খাদ্যগুদামের শ্রমিকদের বাড়তি টাকা না দিলে ধান নিতে গড়িমসি করা করা হয়। এসব হয়রানি ও ভোগান্তির কারণে কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী নন। এছাড়া বিভিন্ন সময় গোপনে নিজের পছন্দমত ডিলার থেকে লাল নষ্ট চাল কিনে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেয়ারও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
এসব নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ হলেও জেলা খাদ্যকর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না।
আমতলী উপজেলা খাদ্য গুদামের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো.হুমায়ূন কবির জানান, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারের দাম অনেক বেশি হওয়ায় কৃষকরা বাজারে ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধান ক্রয় করা যাবে না বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
আমার বরিশাল/আরএইচ







































