বরগুনায় বেড়িবাঁধ কেটে ভাটার মালামাল পরিবহন, হুমকিতে ৫ গ্রামের মানুষ
জানুয়ারি ০২ ২০২৩, ১৩:১০
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরগুনায় বেড়িবাঁধ কেটে ইট ভাটার মালামাল পরিবহনের অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) আমতলী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন-উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকার কাঞ্চন আলী মৃধার ছেলে মো. আবুল মৃধা ও আঙ্গুল কাটা এলাকার শফিউদ্দিন আহমেদ মুন্সির ছেলে মো. বাদল মুন্সি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামে বুড়ীশ্বর (পায়রা) নদীর বেড়িবাঁধের ভেতরের অংশে স্থানীয় মো. বাদল মুন্সি একটি ইটভাটা স্থাপন করেন। তবে বেড়িবাঁধের বাইরে নদীর চর দখল করে কাঁচা ইট তৈরি করেন।
সেখান থেকে ইট শুকানোর পরে পোড়ানোর জন্য চুল্লিতে সহজে পরিবহনের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য করা বেড়িবাঁধ কেটে চলাচলের রাস্তা তৈরি করেন।
এতে করে হুমকিতে পড়েছে গুলিশাখালী ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা, খেকুয়ানী, ডালাচারা, বাজারখালী ও গুলিশাখালী গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। বেড়িবাঁধ কাটার ঘটনাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরে আসলে তারা মামলা করেন।
বরগুনায় বেড়িবাঁধ কেটে ইট ভাটার মালামাল পরিবহনের অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ
এ বিষয়ে আবুল হোসেন মৃধা বলেন, আমি বেড়িবাঁধ কাটিনি। আমি এই ইটভাটাটি ভাড়া নিয়েছে। আমি ভাড়া নেওয়ার আগেই বেড়িবাঁধটি কাটা ছিল।
এ বিষয়ে ওই ইট ভাটার মালিক বাদল মুন্সির যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। আমতলী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান বলেন, আঙ্গুল কাটা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ কেটে ইট ভাটার কাঁচামাল পরিবহনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে যারা বেড়িবাঁধ কেটেছে তাদের শনাক্ত করে আমতলী থানায় অভিযোগ করেছি। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, বেড়িবাঁধ কেটার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।







































