মির্জাগঞ্জে মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি ৩ বক্স কালভার্টের
ডিসেম্বর ১২ ২০২২, ১৩:৩৬
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পূর্ব সুবিদখালী সিরাজ ইলেক্ট্রিশিয়ান বাড়ি থেকে ওয়াবদা রোড ভায়া ব্যাপারী বাড়ি পর্যন্ত সড়কে তিনটি বক্স কালভার্ট নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে দু’বছর আগেই। তবে এখনো পর্যন্তে শেষ হয়নি ওই তিন কালভার্টের নির্মাণকাজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরো কাজ না করেই অর্ধেকের বেশি বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার কোম্পানি। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ায়, সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী জানান।
তবে নতুন উপজেলা প্রকৌশলী মির্জাগঞ্জে যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে পূর্ব সুবিদখালী সিরাজ ইলেক্ট্রিশিয়ান বাড়ি থেকে ওয়াবদা রোড ভায়া ব্যাপারী বাড়ি পর্যন্ত তিনটি বক্স কালভার্ট টেন্ডার আহ্বান করে এলজিইডি বিভাগ।
উপজেলা শহর (নন মিউনিসিপ্যাল) মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প আওতায়(UTMIDR) ২০২০ সালের ১ মে কাজ শুরু করে পটুয়াখালীর লিং ট্রেডার্স সেন্টার নামে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
৫০ লাখ ২৪ হাজার ২১ টাকা ব্যয়ে বক্স কালভার্ট নির্মানের শুরুতেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও টালবাহানা শুরু করেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল কাজের মেয়াদ শেষ হলে ইতোমধ্যে অর্ধেকের বেশি বিল তুলে নিয়েছেন ওই ঠিকাদার। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হয়নি কোনোটারই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়ক সংলগ্ন একটি বক্স কালভার্ট পড়ে আছে দীর্ঘ দিন ধরে। নিয়ম মোতাবেক কাজ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয় মো: মজিবর রহমান বলেন, নিজ বাড়ির সামনে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের কাজ পড়ে আছে। প্রায় তিন বছর যাবৎ ভোগান্তিতে আছে এলাকাবাসী।
ঠিকাদারদের বারবার বললেও কাজ করবে করবে বলে আজও করছেন না। খালে বাঁধ না দিয়েই শুরু করে কালভার্ট নির্মাণ। নিজেদের চলাচলের জন্য কয়েক দিন আগে খালের বাধঁ দেয়ার কথাও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, অপর একটিকালভার্টের স্লাব নির্মাণ হয়েছে চার মাস আগে। কালভার্টের দু’পাশ মাটি দিয়ে ভরাট না করায় সিঁড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
অপর দুটি বক্স কালভার্টের অরো ভয়াবহ। দু’পাশের এক পাশে ঢালাই দেয়া হয়েছে। অপর পাশের আজও পড়ে আছে। রডে মরিচা ধরে টেম্পার কমে যাচ্ছে।
একই রাস্তায় তিনটি বক্স কালভার্টের কাজ ফেলে রাখায় ভোগান্তির যেন শেষ নেই এলাকাবাসীর। উপজেলা এলজিইডি বিভাগ এগুলো দেখেও না দেখার ভান করছে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পটুয়াখালী লিং ড্রেডার্স সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী নিপুন কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে স্বীকার করে বলেন, বক্স কালভার্টের একটি কাজ শেষ হয়েছে। খালে সেচ দেয়া হয়েছে। বাকি দুটি কালভার্টের কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: আশিকুর রহমান বলেন, কাজের মেয়াদ শেষ হলেও তা বাড়ানো হয়েছে। তবে ঠিকাদারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। কাজ না করলে তার কাজ বাতিল করা হবে।
পটুয়াখালী জেলা এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন বলেন, তিনি এখানে নতুন এসেছেন। সঠিক সময়ের মধ্যে কেন কাজ হয়নি তা খোঁজ-খবর নিয়ে এর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আ/ মাহাদী








































