সেই হাদিসুরের স্বপ্নের ঘর নির্মাণ হচ্ছে
‘বাপজানের কথা মনে পড়লে বুকটা ধপধপ করে ওঠে’
ডিসেম্বর ০৭ ২০২২, ১৭:২০
বাড়ী নির্মান, এরপর বিয়ে ‘ এ অনুভুতি ব্যক্ত করেন হাদিসুর তার মায়ের কাছে। এটা তার স্বপ্নের বাড়ি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাদিসুরের বাড়িতে গেলে, এসব বিষয় কথা হয় হাদিসুরের পরিবারের স্বজনদের সাথে। নিহত হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স বলেন, ইতোমধ্যে ভাইয়ের স্বপ্নের বাড়ি তৈরির কাজ চলমান আছে।
তিনি আরো বলেন, ভাইয়া আমাদের মাঝে আর কখনও ফিরে পাব না। তাকে স্মরণ রাখার জন্য বাড়ীর নামও রাখা হবে ‘হাদিসুরের স্বপ্ন বিলাস’।
হাদিসুরের মা আমেনা বেগম নিঃশ্বাস ছেড়ে বলেন, এই ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাড়িতে এসে নতুন ঘরের কাজ শুরু করাবে, এরপর বিয়ে করার কথা ছিল। স্বপ্নের ঘরের কাজ ঠিকই শুরু হয়েছে নেই মোর বাবজান। বাবজানের কথা মনে পরলেই বুকটা ধাপধপ করে উঠে।
নিহত হাদিসুরের বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাদিসুরের শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ‘
জানা গেছে, গত ১৬ জুন ঢাকায় বিএসসির আঞ্চলিক কার্যালয়ে হাদিসুর রহমানের পরিবারকে ৫ লাখ ৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। টাকায় এই অর্থের পরিমাণ ৪ কোটি ৬০ লাখ চেক তুলে দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার চেকটি গ্রহণ করেন হাসিদুরের বাবা আব্দুর রাজ্জাক।
হাদিসুরের ভাইকে চাকরি দেয়ার পাশাপাশি জাহাজে আটকে পড়া অন্যান্য কর্মকর্তা ও ২৯ নাবিককে সাত মাসের বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হলে অলভিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। জাহাজটি ২৯ জন নাবিক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে সেখানেই নোঙর করা অবস্থায় আটকা পড়ে। পরে গত ২ মার্চ ইউক্রেনে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’-তে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। এ সময় নিহত হন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।








































