আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোবারক খালাস
জুলাই ৩০ ২০২৫, ১২:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মো. মোবারক হোসেন মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়েছেন। বুধবার (৩০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ তার আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাজান ও ইমরান এ সিদ্দিক। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম। গত ২২ জুলাই শুনানি শেষে আদালত ৩০ জুলাই রায়ের জন্য দিন রেখেছিলেন।
২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়।
এর একটিতে মৃত্যুদণ্ড ও অপরটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর মোবারক হোসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৮২ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ৮৬২ পৃষ্ঠার এ আপিল দাখিল করা হয়।
মোবারক ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে তার আগে জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন মোবারক।
পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে এজ নম্বর অভিযোগ আখাউড়া থানার টানমান্দাইল ও জাঙ্গাইল গ্রামে ৩৩ জনকে হত্যা এবং তিন নম্বর অভিযোগ ছাতিয়ান গ্রামের আব্দুল খালেককে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয় ট্রাইব্যুনালের রায়ে। এক নম্বর অভিযোগে ফাঁসি এবং তিন নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় মোবারককে।
বাকি তিন অভিযোগ আনন্দময়ী কালীবাড়ী রাজাকার ক্যাম্পে আশুরঞ্জন দেবকে নির্যাতন (২ নম্বর), শ্যামপুর গ্রামের দুজনকে অপহরণ করে একজনকে হত্যা (৪ নম্বর) ও খরমপুর গ্রামের একজনকে আটক রেখে নির্যাতন (৫ নম্বর) প্রমাণিত না হওয়ায় এসব অভিযোগ থেকে খালাস পেলেন মোবারক।








































