ঈদের ছুটিতে ঝালকাঠিতে বিয়ের হিড়িক!
জুন ১১ ২০২৫, ১৬:২৪
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে ঝালকাঠিতে বিয়ের ধুম পড়ে গেছে। প্রতিদিনই বিয়ের সানাই বাজছে মহল্লায় মহল্লায়। আর এতে ঈদ আনন্দ আরও বর্ণিল ও মুখরিত হয়েছে। মূলত ঈদের উৎসবে নাড়ির টানে শহর থেকে গ্রামে ছুটে আসেন লাখো মানুষ। প্রিয়জনের সঙ্গে মিলনের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঈদ পরবর্তী সময়ে প্রতিবছরই বিয়ে-শাদির আয়োজন হয়ে আসছে। এতে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের উপস্থিতিতে উৎসব হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত।
এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দীর্ঘ ছুটিকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠির বিভিন্ন এলাকায় বিয়ে সাদির ধুম পড়ে গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের ছুটিতে ঝালকাঠির পার্লার আর ফুলসহ বিয়েকেন্দ্রিক সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দম ফেলারও সময় নেই। শহর থেকে গ্রাম- সবখানেই যেন বিয়ের হিড়িক।
জেলা শহরের পূর্বচাঁদকাঠি এলাকার মো. বাবুল মিনা বলেন, ঈদে পরিবার-পরিজন একত্র হলে বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠান সহজেই সম্পন্ন করা যায়। এতে আয়োজন করতে যেমন সুবিধা হয় তেমনি আত্মীয়রা সবাই অংশ গ্রহণ করতে পারেন।
জেলা শহরের শহীদ সরণি এলাকার একটি বিয়ের বরপক্ষের সদস্য ইদ্রিস মাঝি বলেন, ‘ঈদের সময় সবাই বাড়িতে থাকেন, তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে সহজেই সবাইকে পাওয়া যায়। স্বজনরা নিজেরাই হাতে হাতে সব কাজ কর্ম করে দেন। আর তাতে উৎসবটা পরিপূর্ণ হয়।
সদর উপজেলার হাজরাগাতি গ্রামের এক কনেপক্ষের অভিভাবক মেনাজ উদ্দিন বলেন, ‘মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করেই আমরা ঈদে সবাইকে খবর দিয়েছিলাম। ঈদের তৃতীয় দিনে বিয়ে সম্পন্ন হয়। সব আত্মীয়-পরিজনরা উপস্থিত ছিলেন। হৈচৈ ও আনন্দমুখর পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় খুব ভালো লেগেছে।’
শহরের সাংস্কৃতিক সংগঠক ও শিক্ষাবিদ ড. শামীম আহসান বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বিয়ের এই রেওয়াজ আমাদের সমাজে এখন ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে। আত্মীয়তা ও সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করতে এই প্রথা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
এদিকে ঝালকাঠির বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার, বাড়ির আঙিনায় এখন চলছে বিয়ের আয়োজন। এলাকাবাসী ও আত্মীয় পরিজনের অংশগ্রহণে ঈদ পরবর্তী এ জাঁকজমক সামাজিক অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ঈদের আনন্দ আর বিয়ের আমেজে শহর-গ্রাম সবখানেই এখন আনন্দের বন্যা।








































