এতিম শিশুদের সাথে ঈদ আনন্দ উদযাপন করলেন ডিসি

জুন ০৭ ২০২৫, ২৩:২৬

আরিফ হোসেন ‍॥ ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি” তাই পরিবারকে রেখে এতিম শিশুদের সাথে ঈদুল আজাহারের এই খুশি ভাগাভাগি করলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন।

আজ শনিবার (৭ জুন) দুপুরে বরিশাল সরকারি শিশু পরিবার বালক ও বালিকায় যান এবং এতিম শিশুদের সাথে সময় দেন। শিশুদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে দুপুরের নিজ হাতে এতিম শিশুদের খাবার খাওয়ালেন জেলা প্রশাসক।

ঈদ আনন্দকে নিজ নিজ আঙ্গিনায় আবদ্ধ করতে ব্যস্ত প্রত্যেকেই। কিন্তু আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছে, যাদের ঈদ আছে কিন্তু আনন্দ নেই।

এদের মধ্যে রয়েছে এতিম শিশুরা। কেননা, ঈদের আনন্দ নতুন জামায় নয়, নয় হাজারো মজাদার খাবারের সমারোহে।

শিশু পরিবার বালিকার দায়িত্বে থাকা বরিশাল জেলা সমাজ সেবার কার্যলয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ জানায়, সরকারি শিশু পরিবার বালক-বালিকা (দক্ষিণ-উত্তর) এখানে একবছর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের প্রায় সাড়ে ৩শ’ এতিম শিশু রয়েছে। তার মধ্যে দুই শতাধিক রয়েছে মেয়ে। তাদের পারিবারিক পরিবেশে স্নেহ-ভালোবাসা ও আদর-যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করাই হলো আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের মূল দায়িত্ব।

তিনি আরো বলেন, পাশাপাশি শিশু শেয়েদের শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং নিবাসীদের শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানবিক উৎকর্ষতা সাধনেও কাজ করে যাচ্ছে এই শিশু পরিবার। তবে আজ ঈদের দিন এতিম মেয়রা জেলা প্রশাসক স্যারকে পেয়ে তারা খুবই আনন্দিত।

শিশুরা পরিবারের এতিম মেয়েরা জানায়, ছোটকাল থেকে আমরা কেউ মাকে আবার কেউ বাবাকে হারিয়ে এখানে বড় হয়েছি। বাবাকে দেখিনি। আজ ডিসি স্যারকে কাছে পেয়ে মনে হয়েছে আমরা আমাদের বাবাকে কাছে পেয়েছি।

সরকারী শিশু পরিবার বালিকা আবাসন কেন্দ্রে একাধিক এতিম শিশু ও এতিম মেয়েরা বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের এই মহান উদ্যোককে ধন্যবাদের পাশাপাশি প্রশাংসা না করলেই হয় না। ঈদের দিন জেলা প্রশাসক স্যার তার পরিবারের স্বজনদের রেখে আমাদের কথা চিন্তা করে ছুটে এসেছেন আমাদের কাছে। আমারা স্যারকে পেয়ে খুবই। যা ভাষা বুঝিয়ে বলতে পারবো না।

সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ বলেছেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ দেলোয়ার হেসেন স্যার ঈদের নামাজ শেষে হঠাৎ সকালে আমাদের সরকারি শিশু পরিবার বালিকা আবাসন কেন্দ্র ছুটে আসেন। পরে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য নিজে দাড়িয়ে থেকে গরু জাবাই করেন। পাশাপাশি উন্ন্নত মানের বিভিন্ন আইটেমের খাবার এর ব্যবস্থা করেন। শুধু তাই রান্না শেষে নিজ হাতে প্রতিটি শিশুকে খাবার বেড়ে দেন। দেখে মনে হলো এরা স্যারে সন্তান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দোলোয়ার হোসেন এর কাছে হঠাৎ শিশু পরিবার বালিকা আবাসন কেন্দ্রে ছুটে আসার কারন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন। আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই হঠাৎ মনে করলাম এখানে যে শিশুরা থাকে তারা তো এতিম। তাই মনে হলো এবার এতিম শিশুদের সাথে ঈদ করবো। তাই পরিবারের সবাইকে রেখে এতিম শিশুদের সাথে ঈদ করে চলে আসলাম। পরে এখানে শিশুদের দেখে খুবই ভালো লাগলো।

তিনি আরো বলেন, এতিম শিশুদের সাথে ঈদের আনন্দে আমরা শরিক হতে পেরেছি। তাদের হাসির কারণ হতে পেরেছি। এটা অনেক বড়ো পাওয়া। সমাজের বিত্তবানরা যদি তাদের সহযোগিতায় জন্য যে কোন দিবসে এগিয়ে আসেন, তাহলে শিশুরা ঈদটা আনন্দ সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারবে।

এতিমশিশুদের দাবি জেলা প্রশাসকে স্যারকে যেন সব সময় তাদের পাশে পায় এমনই প্রত্যাশা সকলের।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও