তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার তালতলীতে হস্তান্তরের আগেই ফের নবনির্মিত মুজিব কিল্লা ভবনের একাধিক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার করে এ ভবন নির্মাণ করার ফাটল দেখা দিয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এই ফাটল নিয়ে এর আগেও প্রতিবেদন প্রকাশ হলে হস্তান্তর ও উদ্বোধন বন্ধ হয়ে যায়।
তালতলীতে হস্তান্তরের আগেই মুজিব কিল্লায় ফাটল
জুন ২৭ ২০২৪, ১৭:২৯
এরপর গত বছরের আগস্টের দিকে নবনির্মিত মুজিব কিল্লা ভবনের বিভিন্ন অংশের ভেতর ও বাইরের দেয়ালে ফাটলগুলো স্থানীয়দের নজরে আসে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ভবন হস্তান্তর ও উদ্বোধন বন্ধ হয়ে যায়। একই সাথে ফাইনাল বিল আটকে দেয় ইউএনও। এর পরে গত এক বছরে শুধুমাত্র ফাটলস্থানে সিমেন্টের আস্তর করে রাখা হয়েছে। ফের ওই ভবনে ফাটল দেখে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
প্রকল্পে মাটির কাজ, ভবনের স্লোপ,ভিমের লিংটেন, ক্যাটল শেডসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করা হলেও তা অত্যন্ত নিম্নমাণের হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে ভবনে স্লোপ, মূল ভিমের লিংটেন ও ক্যাটল শেডে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এদিকে ১৯৯৫ সালে উপজেলার তালতলী, মালিপাড়া ও তুলাতলী গ্রাম নিয়ে গঠিত হয়েছে তামাতু নামের টিলা। এটাও ভুল করে তারা নাম লিখেছেন তামাকুটিলা। এছাড়াও উদ্বোধনের নাম ফলোকে প্রধানমন্ত্রীর নামও মুছে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে জানান, মুজিব কিল্লা নির্মাণের সময় নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে ঠিকাদারের লোকজন আমাদের হুমকি দেন। এজন্য আমরা কিছু বলতে পারি না।
স্থানীয় বাসিন্দা রেকসোন বলেন, তালতলী তামাতুটিলায় মুজিব কিল্লা নির্মাণকাজে নিম্নমাণের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, না হলে এভাবে ফাটবে কেন?। এই ফাটলের কারণে আমরা আতঙ্কিত। আপদকালীন সময় এখানে আশ্রয় নিতে মানুষ ভয় পাবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম লিটু বলেন, মুজিব কিল্লার কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। নিম্নমাণের মালামাল দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। আমি একাধিকার তাদের বলতে গেলে তারা বলেন, উন্নয়ন কাজে বাধা দিতে আসবেন না। এমন কি চাঁদাবাজি মামলা দেওয়ারও হুমকি দেন আমাকে।
মুজিব কিল্লা প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার মো. শামছুদ্দোহা বলেন, গত বছর যে সব স্থানে ফাটল দেখা গেছে সেগুলো ঠিক করা হয়েছে। এখন যদি কোনো ফাটল দেখা যায় তা সংস্কার না করা পর্যন্ত ঠিকাদারকে ফাইনাল বিল দেওয়া হবে না। সম্পূর্ণ ঠিকঠাক না থাকলে আমরা ভবনটি বুঝেও নেব না।
ভবন নির্মাণ কাজের পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মাসুম বলেন, ঠিকাদার ফাইনাল বিলের জন্য আবেদন করেছে। আমরা পরিদর্শন করেই বিল দিবো। ভবনে যদি কোনো ফালট বা অন্য কোনো সমস্য থাকে তাহলে বিল দেওয়া হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, আমরা পরিদর্শন করে দেখবো। যদি কোথাও ফাটল থাকে তাহলে ফাইনাল বিল দেওয়া হবে না। একই সাথে আমরা ভবনটি বুঝে নিবো না।








































