ভোলায় হামলার ভয়ে হাসপাতাল থেকে পালালেন বিএনপি নেতারা
অক্টোবর ২৮ ২০২২, ২৩:৫৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে গিয়ে যুবলীগের হামলায় আহত হয়েছেন অর্ধশত যুবদল নেতাকর্মীরা।
তবে মামলা ও হামলার ভয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছেন নেতাকর্মীরা। চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার চরফ্যাশনে যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যুবলীগ অতর্কিত হামলা করে যুবদলের ৫০ নেতাকর্মীকে আহত করেছে। আহতরা হলেন, উপজেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক মিলন নক্তি, উপজেলা যুবদল নেতা ফজলে রাব্বি, যুবদলের সহ তথ্য গবেষণা সম্পাদক জহির উদ্দিন সাদ্দাম সাইমুন, উপজেলা যুবদলের নেতা সৈকত মালতিয়া, উপজেলা মৎস্য দলের সভাপতি সোহেল খান, উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ, ওমরপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা বেল্লাল মোস্তসন, আছলামপুর যুবদলের সাংগঠনিক জাকির, মনপুরা উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি মেহেদী ফরাজি, নুরাবাদ যুবদলের নেতা বাবুল পাটওয়ারি, আমিনাবাদের যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক উল্লাহসহ আরও অনেকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গতকাল সকাল দশটায় চরফ্যাশন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের বাসভবনে যুবদলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় পরে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন দিপু ফরাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, সাবেক সংসদ নাজিম উদ্দিন আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া। অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে নেতাকর্মীরা বের হয়ে যার যার কর্মস্থলে যেতে শুরু করেন। ঠিক সেই সময় উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লবের নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যুবদল নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
সেই হামলায় প্রায় ৫০ জন যুবদল নেতাকর্মী আহত হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তাদের নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। চরফ্যাশন উপজেলা যুবদল সভাপতি আশরাফুল ইসলাম দীপু জানিয়েছেন, সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলমের বাসায় সকাল ১০টার দিকে যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা চলছিল।
এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সরকারদলীয় লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এমপি নাজিম উদ্দিনের বাসায় ভাংচুর চালায়। এমনকি পুলিশের কাছ থেকে নেতাকর্মীদের ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।