ঝালকাঠিতে বাস দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কোনো মামলা হয়নি
জুলাই ২৩ ২০২৩, ১১:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনও থানায় কোনো মামলা হয়নি।
রোববার (২৩ জুলাই) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বরিশালের হাটখোলা এলাকার কবির মোল্লার স্ত্রী পারভীন আক্তার (৫৩)। রাজাপুর উপজেলার নিজামিয়া গ্রামের মৃত মাওলানা নজরুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪৩), তার মেয়ে খুশবু আক্তার (১৭)।
ভাণ্ডারিয়া পৌর এলাকার পান্না মিয়ার ছেলে তারেক রহমান (৪৫), একই এলাকার মুজাফফর আলীর ছেলে সালাম মোল্লা (৬০)। ভাণ্ডারিয়া পৌরসভার মৃত সালাম মোল্লার ছেলে শাহীন মোল্লা (২৫), ভাণ্ডারিয়ার পশারিবুনিয়া এলাকার জালাল হাওলাদারের মেয়ে সুমাইয়া (৬)।
বাকেরগঞ্জের চর বোয়ালিয়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ (৮), ভাণ্ডারিয়া রিজার্ভ পুকুর পাড় এলাকার মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম (৬০), মৃত লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে আবুল কালাম হাওলাদার, মেহেন্দিগঞ্জের মোর রিপনের মেয়ে নিপা মনি (১), তার মা আইরিন আক্তার (২২), রাজাপুরের বলাইবাড়ি এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন (১৬), ভাণ্ডারিয়ার উত্তর শিয়ালকাঠি এলাকার মৃত ফজলুল হক মৃধার স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৮০)।
কাঠালিয়ার বাঁশবুনিয়া এলাকার তৈয়বুর রহমানের মেয়ে সালমা আক্তার মিতা (৪২), তেলিখালি এলাকার রাসেল সিকদারের স্ত্রী সাবিহা আক্তার (২৪), কাঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ কৈখালি গ্রামের ফারুক তালুকদার (৫০)।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বাসটি ছত্রকান্দা এলাকায় আসার পর একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে যায়। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি উল্টে সড়কের পাশে থাকা একটি পুকুরে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৭ জন যাত্রী নিহত ও প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার জানান, নিহত ও আহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে হতাহতদের স্বজনরা অভিযোগ দায়ের করবেন, আমরা সেই অপেক্ষায় আছি। কেউ দায়ের না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।








































