আত্মহত্যার ছয় দিন পরে শ্লীলতাহানীর মামলা
জুন ১৯ ২০২৩, ১৮:২৯
জেলা প্রতিনিধি,ঝালকাঠি।। ঝালকাঠির রাজাপুরে মাদরাসা শিক্ষার্থী ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়ার ছয় দিন পরে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন)বিকেলে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি পুলক চন্দ্র রায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে রোববার রাতে ভূক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর মা ও চল্লিশ কাহনিয়ার আব্দুল মজিদ খানের স্ত্রী নাছিমা বেগম বাদী হয়ে একই এলাকার খলিল মোল্লার ছেলে মিজান মোল্লা ও তার দুই সহযোগীসহ অজ্ঞাত দুই জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত ১১জুন বিকালে নাসিমা বেগমের বড় মেয়ে মোসাঃ কেয়া মনি সহপাঠিদের সাথে উত্তমপুর বাজারে ছবি তুলতে যায়।
ছবি তুলে বাড়ী ফেরার পথে চল্লিশ কাহনিয়া এলাকার মাঝি বাড়ী ও মোল্লা বাড়ির মধ্যবর্তী নির্জন রাস্তায় মিজান তার দুই সহযোগিদের সাথে নিয়ে কেয়া মনি’র পথ আটকায়। এ সময় মিজান কেয়া মনিকে প্রেমসহ বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে হাত ধরে টানাটানি ও শ্লীলতাহানী করে।
এ সময় মিজানের দুই সহযোগী পাশে দাড়িয়ে হাসাহাসি ও ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। স্থানীয়দের দেখে মিজান ও তার সহযোগিরা পালিয়ে গেলে কেয়া মনি বাড়িতে চলে যায়।
তবে কাউকে কিছু না বললেও ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কেয়া মনি সকলের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। পরে লোকলজ্জার ভয়ে ১৩ জুন নিজ বসত ঘরের দ্বিতীয় তলার আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করেন। পরে ঘটনা বিভিন্ন জনের মাধ্যমে জানতে পেরে গত ১৮ জুন রাতে নাসিমা বেগম মামলা (নম্বর- ০৭) দায়ের করেন।
রাজাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় বলেন, মামলার স্বার্থে সকল আসামিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।








































