ইশরাককে প্রধান আসামি করে ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়ি ফেরেনি বিএনপি’র নেতাকর্মীরা
নভেম্বর ০৬ ২০২২, ১৫:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার জবাবে বহরে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের পাল্টা হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যুবলীগ নেতা রাসেল রাঢ়ী বাদি হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৭১ জনের নামোল্লেকসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি করেছেন।
তাই বিভাগীয় সমাবেশ শেষেও গ্রেফতার আতঙ্কে রবিবার দুপুর পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি গৌরনদী উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হেলাল উদ্দীন জানান, মামলায় এজাহারভূক্ত সাতজন আসামিকে গ্রেফতার করে রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এজাহারের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, উপজেলার মাহিলাড়া বাসষ্ট্যান্ডে বসে যুবলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, দলীয় কার্যালয়ে আসবাবপত্র ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ রাসেল রাঢ়ী বাদী হয়ে শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-ইশরাক হোসেন, গৌরনদী উপজেলা বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান মিন্টু, সজল সরকার, জাফর আনান, জামাল ফকির, সায়েদুল আলম সেন্টু, তাইফুর রহমান কচি, জাকির হোসেন রাজা, গফুর সরদার, আনোয়ার হোসেন বাদল, ফুয়াদ হোসেন এ্যানি, জাকির শরীফ, সোহানুর রহমান সোহাগ, মনির আকন, শামীম খলিফা, আমিনুল ইসলাম শাহীন, জসিম শরীফসহ ৭১ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরমধ্যে ভোলা, বরগুনা, ঢাকা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার আসামিও রয়েছে। একই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয়ে আরো ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইশরাক হোসেনের সফরসঙ্গী বরগুনার বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম, পাথরঘাটার বিএনপি নেতা পলাশ হোসেন এবং ভোলার বিএনপি নেতা সফিউদ্দিন রয়েছেন।
গ্রেফতার আতঙ্কে ভিন্নপথে ঢাকা গেছেন ইশরাক ॥ বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এমন গুঞ্জনে ভিন্নপথ হিসেবে গাড়িবহর নিয়ে ঝালকাঠি থেকে বাগেরহাট হয়ে ঢাকায় গেছেন ইশরাক হোসেন। শনিবার রাতে তার গাড়িবহর বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি হয়ে ঢাকায় গেছে।
ইশরাক হোসেন জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে শনিবার সকালে বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে গৌরনদীর মাহিলাড়া এলাকায় বসে পিছন থেকে তার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে আটটি গাড়ি ভাংচুরসহ নয়জন নেতাকর্মীকে মারধর করে আহত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলার পাল্টা জবাবে ইশরাকের সফরসঙ্গী বিএনপির নেতাকর্মীরা যুবলীগ নেতাদের ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।
পরে তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করে। ইশরাকের সফরসঙ্গীদের পাল্টা হামলায় যুবলীগ নেতা রাসেল রাঢ়ী, বিলাশ কবিরাজ, ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম সঙ্গীতসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।