বরিশালের গণসমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে যুবদল নেতাকে এলোপাতাড়ি কোপ
নভেম্বর ০২ ২০২২, ১৯:১৫
নিজস্ব প্রতিবেবদক, বরিশাল: বরিশাল বিএনপির ৫ নভেম্বরের গণসমাবেশে যোগ দিতে আসার প্রাক্কালে ভোলার চরফ্যাশনে স্থানীয় এক যুবদলকে নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে ক্ষমতাসীন দলীয় নেতকর্মীরা।
উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস লোকজন নিয়ে বুধবার অপরাহ্নে কর্মী-সমর্থক নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দিলে পথিমধ্যে মাঝিরহাট খাসমহল এলাকায় তার ওপর আওয়ামী লীগ নেতা রহমান মেম্বরের নেতৃত্বে হামলা চালায় ছাত্র-যুব ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা।
একপর্যায়ে যুবদল নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নিয়ে আসা হয়।
উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, যুবদল নেতা ইদ্রিস ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে আগেভাগেই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বুধবার বেলা ১২টার কিছু পর রওনা হন।
একপর্যায়ে তারা স্থানীয় মাঝিরহাট খাসমহল এলাকায় পৌছালে আওয়ামী লীগ নেতা রহমান মেম্বরের নেতৃত্বে ছাত্র-যুব ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের অন্তত ১৫ থেকে ২০ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবদল নেতা ইদ্রিসকে এলোপাতাড়ি কোপানোসহ আরও দুজনকে মারধর করে।
অভিন্ন অভিযোগ করে যুবদল নেতার স্বজনেরা জানান, বরিশালের গণসমাবেশকে ঘিরে ৪ ও ৫ নভেম্বর লঞ্চ বন্ধ হতে যাচ্ছে এমন ঘোষণা আসার পরে বুধবার সকালে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন ইদ্রিস।
কিন্তু ভোলা জেলা ত্যাগ করার আগেই তার ওপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা রহমান মেম্বর। এই হামলায় ছাত্র-যুব ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের বেশকিছু নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। একপর্যায়ে তারা ইদ্রিসকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে স্থান ত্যাগ করে।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় যুবদল নেতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
শেবাচিমের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ইদ্রিসের বর্তমান অবস্থা গুরুতর। তার বুকের ডান পাশে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে অনেকাংশজুড়ে দুভাগ হয়ে গেছে।
এদিকে যুবদল নেতাকে দেখতে শেবাচিম হাসপাতালে ছুটে গেছেন বরিশাল বিএনপির নেতাকর্মীরা। বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারিক জানান, চরফ্যাশন যুবদল নেতা ইদ্রিসকে কোপানোর খবর পেয়ে তিনিও তাকে দেখতে শেবাচিমে যান।
এই বিষয়ে জানতে চরফ্যাশন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিক কল দিলে অপরপ্রান্ত থেকে সাড়া মেলেনি।
আ/ মাহাদী