বরিশালে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ তোশক কারিগরদের
নভেম্বর ১৬ ২০২৫, ১৪:০৭
শনিবার বিকেলে নগরীর পদ্মবর্তী এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিমুল তুলার লেপ-তোশক ও বালিশের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে এ অঞ্চলে। এ কারণে শিমুল তুলার মূল্য অনেকটা বেশি।
বরিশাল নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দারা শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ভিড় জমাচ্ছে লেপ-তোশক বানানোর দোকানগুলোতে। আর শীতের আগমনে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
নগরীর পদ্মাবতী রোড, বাজার রোড, সাগরদী, চৌমাথা, নতুন বাজার, কালিজিরা বাজার, কাশিপুর বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লেপ-তোশকের দোকানের সবকটিতেই ছিল কারিগরদের লেপ বানানোর ব্যস্ততা। দোকানিরাও অর্ডার গ্রহণ এবং ক্রেতাদের বিভিন্ন রঙ-মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ দৃশ্য এই মৌসুমে চলছে গোটা জেলার হাট-বাজার গুলোতেও। লেপ-তোশক তৈরি ধনুকর আমল দাস জানান, শীত একটু বাড়লেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে। ক্রেতাদের এ আনাগোনা চলবে পুরো শীত জুড়ে।
তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে চাহিদা বাড়তে পারে লেপ-তোষকের। একাধিক ধনুকররা জানান, প্রতিটি লেপ বা তোশক তৈরিতে একজন কারিগরের সময় লাগে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা। এভাবে একজন কারিগর দিনে ৬ থেকে ৮টি লেপ বা তোশক তৈরির কাজ করে থাকেন।
এবিষয়ে পদ্মাবতী রোডের লেপ-তোশক ব্যবসায়ী কবির জানান, শীত মৌসুমে কারিগররা লেপ-তোশক তৈরির কাজ পান। বছরের বাকি সময় তারা অলস সময় পার করে থাকে। কেউ তখন অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকেন।
তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে চাহিদা বাড়তে পারে। তুলার মান ও পরিমানের ওপর নির্ভর করে লেপ-তোশক তৈরির খরচ। এ বছর জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় খরচ আগের চেয়ে ডাবল বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
তবে এবছর একটি লেপ-তোশক বিক্রি করে তাদের ৫’শ টাকার বেশি লাভ হচ্ছে না। এব্যপারে নগরীর চক-বাজার এলাকার ভূইয়া বস্ত্রালয়ের এক ব্যবসায়ী বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোশকের চাহিদা বাড়বে। বর্তমানে বিকিকিনি ভালো এবং বাজারে লোক সমাগম রয়েছে।
অনেকেই আগে ভাগে পুরনো লেপ-তোশক, বালিশ মেরামত ও নতুন ভাবে তৈরির অর্ডার দিচ্ছে। সারা বছর আমাদের তেমন ব্যবসা হয় না। শীতের সময় একটু ব্যবসা ভালো হয়। আবার শীতের শুরুতেই লেপ বেশ ভালোই বিক্রি হয়।
তিনি জানান, তুলা ও কাপড়ের মানের ওপর ভিত্তি করে একটি লেপ তৈরি করতে খরচ পড়ে প্রায় ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে তৈরি হয়।









































