দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নলছিটির পান
জানুয়ারি ১৪ ২০২৩, ১১:৪১
নলছিটি সংবাদদাতা: নলছিটিতে পান চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । উৎপাদন খরচ বাড়লেও দাম ভালো পাচ্ছে চাষিরা । একটি পান পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকা ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা ধরে।
স্থানভেদে বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে কোথাও কোথাও । পান হচ্ছে অনেকের কাছে জনপ্রিয় খাবার ,বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পান না থাকলে পূর্ণতা পায়না অনুষ্ঠান ।
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় বারইকরন ও সরই এলাকায় দৃষ্টি দিলেই মিলবে পান চাষের বরজ । যারা গ্রামে পান চাষ করে তাদেরকে বলা হয় বারই। আর এলাকায় বারই ও পানের বরজের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সুগন্ধা নদীর তীরে অবস্থিত এলাকাটির নাম করন হয়ে গেছে বারইকরন ।
ওখানের চার দিকে তাকালেই দেখা মিলবে শত শত পান চাষের বরজ । নলছিটির মাটি ও আবহাওয়া পান চাষের উপযোগী হওয়ায় পান চাষে আগ্রহ বারছে চাষিদের । ঝুকি কম থাকায় নিরাপদ পান চাষে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা পান চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছে । কম পুঁজি খাটিয়ে ১ একর জমিতে পান চাষ করে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভাব বলে জানিয়েছে চাষিরা ।
কেউ কেউ বংশ পরংপরায় তারা এ কাজের সাথে জড়িত থেকে হয়েছে স্বাবালম্বি। বারইকরন গ্রামের পান চাষি সুদির চন্দ্র মন্ডল বলেন আমার বাব দাদারা পান চাষ করে তা বিক্রি করে জীবন যাপন করে গেছে ,আমরাও এই পেশায় কাজ করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছি।
পান হচ্ছে লতা বিশিষ্ট একটি গাছ যা একাবার রোপন করলে কয়েক বছর ধরে পান পাতা হয়ে থাকে । অল্প পরিচর্চা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায় । গ্রামবাংলা এমনকি শহরে বাংঙ্গালি অনেকেই পান খেয়ে থাকেন । তাই শহর কি গ্রামে সব খানেই রয়েছে পানের চাহিদা । নলছিটির পান এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের ভিবিন্ন স্থানে যাচ্ছে ।
উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় এখানের পানের স্বাদ ও মান খুবই ভালো । ক্ষতিকারক কিট নাশক ছাড়াই স্বাস্থ্যকর পান উৎপাদন করছে এখানকার চাষিরা । পানের বরজে অনেকের হয়েছে কর্ম সংস্থান । দিন মজুর সোনখান জানান আমাদের এলাকায় আমি বিভিন্ন পানের বরজে কাজ করে থাকি এতে যা আয় হয় তা দিয়ে আমার সংসার খুব ভালোই চলচ্ছে ।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরে উপ পরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন জেলায় ৪ শত ৬৮ হেক্টর জমিতে পান চাষ করেছে কয়েক শত চাষিরা। আমাদের কৃষি অধিদপ্তর পক্ষে থেকে পান চাষিদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোতা করে আসছি। এতে জেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় পান চাষিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও অনেকে স্বাবলম্বী হচ্ছে।








































