৩ দিন ধরে সুগন্ধা চরে আটকা লঞ্চ
জানুয়ারি ১০ ২০২৩, ২০:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী এমভি অথৈ-১ লঞ্চটি তিনদিন ধরে ডুবোচরে আটকে রয়েছে। কুয়াশার কারণে রোববার (৮ জানুয়ারি) ভোররাতে চরে আটকে যাওয়ার পর এখনও লঞ্চটি নামানো সম্ভব হয়নি।
স্বাভাবিক জোয়ারেও নদীতে নামাতে না পারায় চরেই আটকে আছে লঞ্চটি। আটকে পড়া ৩০ স্টাফ লঞ্চেই রান্না করে খাচ্ছে। এখন লঞ্চটি নামাতে বড় জোয়ারের অপেক্ষায় রয়েছেন লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মগড় এলাকার সুগন্ধা নদীর চরে রোববার ভোররাত কুয়াশায় আটকা পড়ে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অথৈ-১। এরপর থেকে সেখানেই আটকে আছে লঞ্চটি।
ওই লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানিয়েছেন, গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রায় তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে লঞ্চটি। কুয়াশায় সামনে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। ভোরে চালক লঞ্চটি সুগন্ধা নদীর চরে উঠিয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ওইদিন সকালে আমরা লঞ্চটি চরে আটকে থাকতে দেখে ট্রলারে করে যাত্রীদের পাড়ে আনতে সহযোগিতা করি। লঞ্চে থাকা স্টাফদের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী।’
লঞ্চের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা-বরগুনা রুটে নিয়মিত চলাচলকারী পুবালী-১ মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে থাকায় শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে অথৈ-১ লঞ্চটি।
সুগন্ধা নদীতে আসার পর কুয়াশার কারণে নৌযানের সার্চ লাইট কাজ করছিল না। ওই সময় মাঝনদীতে একটি ড্রেজার লাগিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল।
সেটিকে পাশ কাটাতে গিয়ে লঞ্চটি ডুবোচরে উঠে যায়। আমরা যাত্রীদের দায়িত্ব নিয়ে তীরে পৌঁছে দিয়েছি। এমনকি ভাড়াও অর্ধেক রেখেছি। পরবর্তীতে তারা ট্রলার ও সড়ক পথে গন্তব্যে ফিরে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাভাবিক জোয়ারের পানি এলে অনেক চেষ্টা করেও লঞ্চটি সরানো সম্ভব হয়নি। বড় জোয়ার এলে লঞ্চ নামানো সম্ভব হতে পারে। মালিক পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়েছে। তারা এসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।’
আ/ মাহাদী








































