শেবাচিমে বাক্সবন্দী ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন
জানুয়ারি ০২ ২০২৩, ১৭:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে বরাদ্দ পাওয়া কিডনি ডায়ালাইসিসের নতুন ১০টি মেশিন একমাসেও স্থাপন করা হয়নি।
ফলে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ জেলা বরিশালসহ আশপাশের জেলার রোগীরা সরকারি সেবার কিডনি ডায়ালাইসিস চাহিদা অনুযায়ী সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব নতুন ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন চালু করা হবে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, স্বল্পখরচে আধুনিক চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তাদের শেবাচিম হাসপাতালে আসতে হয়। কিন্তু এখানে ডায়ালাইসিস করতে এসে ঠিকমতো সেবা মেলে না।
ডায়ালাইসিসের সিরিয়াল পাওয়ার আগেই অনেক সময় রোগীরা মারা যাচ্ছে। আবার অনেককেই ছুটতে হচ্ছে ঢাকায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে বর্তমানে ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে। যার মাধ্যমে দিনে ২০ জন রোগীর কিডনি ডায়ালাইসিস করা যায়। কিন্তু দিনে রোগী আসছেন ১০০ জনেরও বেশি। তাই চাহিদা বিবেচনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও ১০টি নতুন ডায়ালাইসিস মেশিন সরবরাহ করলেও স্থান সংকটের কারণে সেগুলো একমাস ধরে বাক্সবন্দী হয়ে আছে।
সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি বেগম জানান, একজন রোগী প্রতি সপ্তাহে দুটি ডায়ালাইসিস করার সুযোগ পাচ্ছেন। জনপ্রতি মাত্র চারশ’ টাকা খরচে প্রতিদিন ২০ জন রোগীকে এখানে ডায়ালাইসিস করা হয়। নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী রুমি বলেন, এখানে স্বতন্ত্র কোনো কিডনি ওয়ার্ড নেই।
তাই মেডিসিন বিভাগের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ ধরনের রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে। এখানে প্রাথমিকভাবে ৫০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট চালুর জন্য চাহিদাপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের নতুন ভবনে মেডিসিন বিভাগ চালু করা হয়েছে। এ কারণে কয়েকটি ওয়ার্ড খালি হয়েছে। তবে নতুন ভবনে কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বাকি ১০টি ডায়ালাইসিস মেশিন চালু করা হবে।








































