মহাসড়কে যানজটে দুই বাস টার্মিনাল স্থানান্তরের বিকল্প নেই

জানুয়ারি ০২ ২০২৩, ১৪:৩৮

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ নগরীর বিষফোঁড়া এখন নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকার যানজট। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো, হঠাৎ ব্রেক কষে গাড়ি ঘুরানোর চেষ্টা করা, কিংবা ইজিবাইক, মহেন্দ্র, অটোরিক্সার ভিড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় দুটো বাস টার্মিনাল এলাকায়। বাস চালকরা এ নিয়ে অটো চালকদের দোষারোপ করলেও প্রশাসন ও মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের দাবী মহাসড়কে যানজট কমাতে হলে রুপাতলী ও নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল স্থানান্তরের বিকল্প নেই। তবে সবার আগে সড়কের প্রশস্ততা বাড়ানোর দাবী চালক ও মালিকদের।

সরেজমিনে রবিবার বিকালে নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে যাবার পথে প্রায় ঘন্টা সময় যানজটে আটকে পড়তে হয় সাগরদি বাজার এলাকায়। রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে পর্যাপ্ত জায়গা জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন পরিবহনের অকেজো বাসগুলো। প্রশাসনিক কঠোরতার অভাবে এখানের বিশৃঙ্খলা তা পরিষ্কার। একইচিত্র ছিলো গতদিন সন্ধ্যায় নতুনবাজার থেকে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে যাবার পথে। প্রায় একঘন্টা যানজট ঠেলে নথুল্লাবাদ টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছে চোখে পড়ে বাস, ইজিবাইক, মহেন্দ্র সবমিলিয়ে সড়কে যেন বেরিকেড বসিয়েছেন অজ্ঞাত কেউ। ট্রাফিক পুলিশ ছুটছেন এই জট ছাড়াতে।

কিন্তু তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা বা ভক্তি নেই কোনো চালকদের মাঝে। সবাই আগে যাওয়ার চেষ্টায় প্রতিযোগিতা করছেন আর এদিকে ট্রাফিক সার্জেন্টের মুখে ফেনা ওঠার উপক্রম হচ্ছে। এখানে বাস চালক মনির হোসেন, সামছু মিয়া ও মহেন্দ্র চালক মোকলেছ এর সাথে কথা বলে জানা যায়, অটোরিকশা, ইজিবাইক ও মহেন্দ্র এতোবেশি বেড়েছে যে ওদের জন্য রাস্তায় চলা যায় না বলে দাবী বাস চালক মনিরের। আর মহেন্দ্র চালক মোকলেছ বললেন, যানজটের জন্য আমরাই শুধু দায়ী নই। সবাই কমবেশি দায়ী। পদ্মা সেতুর কারণে সড়কে গাড়ির সংখ্যা অনেক বেড়েছে, সে তুলনায় রাস্তা বাড়েনি এই সড়ক দ্রুত ফোরলেন হওয়া জরুরী। একইসাথে রুপাতলী ও নথুল্লাবাদ টার্মিনাল শহরের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন এই চালকরা।

তবে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চাকলাদার পরিবহনের বাস চালক সামছু মিয়া বললেন, যতদিন নথুল্লাবাদ টার্মিনাল অন্যত্র স্থানান্তর করা না যায়, ততদিন এই টার্মিনালের পিছনের দিকে আরেকটু বাড়িয়ে গাড়ি যেন ভিতরেই ঘুরিয়ে বের করা যায় সেটা নিশ্চিত করা গেলে সড়কে যানজট কমবে।

বিষয়টির সাথে একমত মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক কিশোর দে। তিনি বলেন, গরিয়াপাড়ে বাস টার্মিনাল স্থানান্তর করার কথাবার্তা চলছে। তবে তা কতদিনে সম্ভব হবে জানা নেই। এ সময় আরো কিছু জমি অধিগ্রহণ করে এই টার্মিনালের পরিধি বাড়ানো জরুরী। কারণ আগের তুলনায় পরিবহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে। তবে আমি বলবো তারপরও সড়কের প্রশস্ততা বাড়াতে হবে। ফোরলেন এবং বিকল্প সড়কের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

এলাবাদ এলাকায় দায়িত্বরত সার্জেন্ট রানা বললেন, এই যানজট নিয়ন্ত্রণ করা ক্রমশ অসম্ভব হয়ে পরছে। এরা কেউ কথাতো শোনেইনা, আবার জায়গা এতো কম যে একটা বাস টার্মিনালের ভিতর থেকে বের হতই যানজট তৈরি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নেয়া ছাড়া বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে বরিশাল ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা আগেই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রস্তাবনা দিয়েছেন। এখন সবটাই সিটি করপোরেশনের ইচ্ছা ও আন্তরিকতার উপর নির্ভরশীল বলে জানালেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)’র উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক এস এম তানভীর আরাফাত।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও