শেবাচিমের জমিতে অবৈধ স্থাপনায় বানিজ্য!

ডিসেম্বর ১১ ২০২২, ১৮:২৯

এম.মিরাজ হোসাইন, অতিথি প্রতিবেদক ॥ চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীদের নেতৃত্বেই বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের জমিতে অবৈধ স্থাপনা করা হয়েছে। আর এই স্থাপনা করে দোকান ভাড়া দিয়ে রমরমা বানিজ্য করে নিচ্ছে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীরাসহ সংশ্লিষ্টরা।

 

এমনকি এসব স্থাপনায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ রয়েছে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষের যোগসাজসেই এই বানিজ্য চলছে। যদিও এই বানিজ্য সম্পাদনের জন্য সামনে রাখা হয়েছে বজলু কমিশনার বাড়ির সুমন নামে এক যুবককে।

 

জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে চতুর্থ শ্রেণি স্টাফ কোয়ার্টারের মুখে পুকুরে ও রাস্তার দুপাশে দোকান ঘর তুলে ব্যবসা বানিজ্য চালাচ্ছে একটি পক্ষ। প্রায় ৩০ টি দোকান তোলা হয়েছে সেখানে। প্রতিদিন সেখান থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করছে স্থানীয় একটি চক্রটি। খাবার হোটেলসহ বিভিন্ন দোকান করেছেন ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীরা। আবাসিক এলাকার পুকুরের মধ্যেও ঘর তোলা হয়েছে। এ ছাড়া সড়কের ওপর দোকানপাট তোলায় আবাসিক এলাকায় প্রবেশমুখই একপ্রকার আটকে গেছে। হোটেলের বর্জ্যে সেখানকার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

 

খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের একটি পক্ষ এই দোকান ঘর তুলে দিয়েছে। আর এটা দেখভাল করেন সুমন নামে এক যুবক। তবে দখলদাররা দাবী করেছেন, তারা হাসপাতালের উর্ধ্বতন ও স্থানীয়দের ম্যানেজ করে ঘর তুলে ব্যবসা করছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যুতের খুটি থেকে অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়েছে এ ঘরগুলোতে। প্রতিটি ঘর থেকে দৈনিক সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে দখলদারা।

চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নেতারা এই টাকার ভাগ পান। ক্রমেই সেখানে নতুন নতুন দোকানের সংখ্যা বাড়ছে। বিগত ৩/৪ বছরে সেখানে কোনো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় বাড়ছে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা ও আয় বাড়ছে দখলদারীদের।

জানাগেছে, দীর্ঘ দিন ধরে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে চতুর্থ শ্রেণি স্টাফ কোয়ার্টারের প্রবেশের প্রধান সড়কের দুই পাশে গণপূর্ত বিভাগের রাস্তা দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলে বহিরাগতরা। সেখানে খাবার হোটেল, চা-পানের দোকান, সেলুন এবং ফলের দোকান বসিয়ে বাজারে পরিনত করে আবাসিক এলাকা। তবে এই বষিয়ে সুমনের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে হাসপাতালের ওর্য়াড মাস্টার ফেরদৌস বলেন, এ বিষয়ে ওয়ার্ড মাষ্টার আবুল কালাম ও চতুর্থ শ্রেণি স্টাফ কোয়ার্টারের সভাপতি জানেন। তারা ওইটার দায়িত্বে। আমি কিছু জানি না, কিছু বলতেও পারবো না।’

ওয়ার্ড মাষ্টার আবুল কালাম বলেন, আমি এসব কিছু জানি না। অবান্তর কথা। কে বলছে আমার নাম। আমি ওইখানে যাবো কেন? কি কাজ ওখানে আমার। সব মিথ্যা কথা। ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, কো বা কারা ঘর তুলে টাকা তুলছে, তা আমার জানা নেই।

 

কেউ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারবে না। কখনো এমন কাজ করিনি। এ ব্যাপারে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী আবাসিক এলাকায় প্রবেশমুখে অবৈধ স্থাপনা এমন অভিযোগ আগেও আসছিল। এখন সরেজমিন পরিদর্শন করে এগুলো উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও