বারবার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ত্রাণ নয়, টেকসই বাঁধ চান

মে ২৮ ২০২৪, ২১:০১

নিজস্ব প্রতবেদক, বরিশাল: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বরগুনার আমতলী এলাকার পায়রা নদীসংলগ্ন আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া এলাকার এক কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওই তিন গ্রামের তিন শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি, পুকুর, মাছের ঘের ও ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বারবার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ত্রাণ নয়, টেকসই বাঁধ চান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙন কবলিত পশুবুনিয়া এলাকায় গত সিডরের পর থেকে টেকসই বাঁধ নির্মাণ হয়নি। প্রতিবারই দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ওই বাঁধ একটু বন্যা হলেই ভেঙে যায়। প্রতি বছরই এলাকাবাসীর বন্যার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়।

পশুরবুনিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ তালুকদার, মন্নান ফকির ও শাহিনুর বেগম বলেন, নতুন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানিতে সব তলিয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাঁধ বেশি দিন টেকে না।

জাফর তালুকদার, আহসান চৌকিদার, মন্নান ফকির, সাইদুর রহমান, নেছার জোমাদ্দার বলেন, ‘বন্যা হলেই প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ নিয়ে আসেন। দুই দিন পর আর তাঁদের দেখা মেলে না। টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় সারা বছর আমাদের জোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়।

যদি সরকার টেকসই বাঁধ নির্মাণ করত, তাহলে আজ এ অবস্থা হতো না। প্রতিবছর পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়সারা বাঁধ দেয়। ওই বাঁধ সামান্য জোয়ারেই ভেঙে যায়। আর এলাকার তিন গ্রামের মানুষ ভীষণ কষ্ট করি। আমরা ত্রাণ চাই না, আমরা টেকসই বাঁধ চাই। পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে চাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব মিয়া বলেন, পশুরবুনিয়া ভাঙন কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। নদী ভাঙন থেকে ওই এলাকা রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও