দুই যুগে ও সংস্কার হয়নি বিসিসি’র যে সড়কটি॥ জনদূভোর্গ চরমে

অক্টোবর ২৬ ২০২৫, ১৮:৫৪

আরিফ হোসেন ॥ সরকার আসে, সরকার যায়, কাউন্সিলর আসে, কাউন্সিলর যায় কিন্তু জনগের কথা চিন্তা করে না কেউ। দুই যুগের বেশি অতিবাহীত হলে ও বরিশাল নগরীর ৩ নং ওয়াওর্ডর অধিকাংশ সড়ক এবং গাউয়াসার প্রধান সড়কের সাথে থাকা শাখা সড়ক আব্দুল কাদের লেনটি দুই যুগে ও সংস্কার হয়নি।

সরোজমিনে গিয়ে ভূক্তভোগী বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সড়কের দুই পাশের বাসিন্দরা নিজেরা জমি দিয়ে রাস্তাটি প্রথম নির্মান করে প্রায় ২৫ বছর আগে। মাত্র তিনশত পনের ফিট লম্বা এবং পাশ্বে ১০ ফুট এই শাখা সড়কটি জন্মলগ্ন থেকেই কাচাঁই পড়ে রয়েছে।

নিজেদের উদ্যোগে রাস্তাটির দুই পাশে গাইডওয়াল করে নিজেরা বালু খোয়া ফেলে কোন রকম চলাফেরা করছে।

ফলে ওই গলীতে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী পরিবার গুলোকে পোহাতে হচ্ছে চরম দূভোর্গ। তার মধ্যে দুটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার রয়েছে।

অন্যদিকে প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অধিকাংশ সড়কের বেহাল অবস্থা র্দীঘ দিন ধরে। যা দেখার কেউ নেই বললেই চলে। সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি কযেকটি সড়কে হাটু সমান পানি জমে থাকে।

গল্লিতে একটি হাফেজি মাদ্রাসা রয়েছে। জলাবদ্ধতায় শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো স্কুল এবং মাদ্রাসায় যেতে পারে না এবং বয়স্করা নামাজে যেতে পারে না।

নিয়মিত তারা হোল্ডিং টেক্স দিয়ে আসলে ও সিটিকর্পোরেশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে ভূক্তভোগীরা বাসিন্দারা। দেখার যেনো কেউ নেই।

বিষয়টি নিয়ে ওর্য়াড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান ফারুক মৃধা সাথে কথা বললে তিনি জানান, বছরের পর বছর আশ্বাস দিয়ে বিগত বছর পাড় করেছেন সাবেক মেয়ররা। বিগত দিনে দল ক্ষমতায় না থাকায় নিজের ব্যর্থতা তুলে ধরেছেন।

তিনি আরো বলেন, আমার ওয়ার্ডের সকল রাস্তার লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনে দেয়া আছে। আশি করি বর্তমান প্রশাসক অথবা নির্বাচন শেষে নতুন সরকার অচীরেই সংস্কার কাজ শুরু করবেন।

গত বছর সিটি কর্পোরেশনে এ ব্যাপারে আবেদন করলে ৫ আগষ্টের সরকার পতনের পর সেই আবেদনের কোন খোজ পাওয়া যায়নি।

বিসিসি থেকে পূন্যরায় আবেদন করতে বলল্লে পরে চলতি বছরের শুরুতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী আর একটি আবেদন করা হয় যার ডকেট নাম্বার ১৫৬০ । এতে বিসিসি থেকে ষ্টেমিটর এসে মাপজোপ করে যায়। সড়কটিতে ৭ ফিট সিসি ঢালাই রাস্তা এবং সাথে ৩ ফিট ড্রেন নির্মানের হিসাব দেয়া হয় এবং সে বাবদ ব্যয় ধরা হয় ৩৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭ শত ৪৬ টাকা। দীর্ঘ দিন অতিবাহীত হলে ও তা এখন অব্দি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যোগাযোগ করলে অর্থ বরাদ্ধ নেই বলে সময়ক্ষেপন করা হচ্ছে ।

গলীর বাসিন্ধা হারুন অর রশিদ বলেন, জন্মলগ্ন থেকে রাস্তাটি কাচাঁ পড়ে আছে। বর্ষা মৌসুমে প্রত্যেকটি বাড়ি জলাবদ্ধতায় আটকে থাকে। আমরা এই দূভোর্গ থেকে পরিত্রান চাই।

বিসিসির সহকারী একাউন্স অফিসার আখতারুজ্জামান সবুজ জানান, প্রকৌশল শাখা থেকে আমাদের কাছে ফাইল চাইনি বলে ওভাবেই পড়ে আছে। এখন আমাদের হাতে কিছু নেই।অত্র ওর্য়াডের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশল শাখায় যোগাযোগ করুন।

বিসিসির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বলেন,আমার কাছে পেপারস আসলে সাধারনত আমি মার্ক করে দেই। আপনি নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল বাশারের সাথে যোগাযোগ করুন।

তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমাদের উর্ধ্বোতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

বিসিসির নিবার্হী প্রকৌশলী (ক অঞ্চল) মোঃ মকসুমুল হাকিম রেজা বলেন,হয়তো তালিকা তৈরী করা হয়েছে। আমি অফিসের বাহিরে অবস্থান করছি।তাই বলতে পারছিনা ।

বিসিসির প্রধান নিবার্হী প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল বারী ঢাকায় অবস্থান করায় তার সাক্ষাতকার নেয়া সম্ভব হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও