অপরাধীদের আস্তানা এখন বরিশালের আবাসিক হোটেল!
অক্টোবর ০৭ ২০২৫, ২১:৩৯
আরিফ হোসেন ॥ অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় এখন বরিশালের আবাসিক হোটেল গুলো। হোটেল ব্যবসায়ীরা নিজ কিংবা ভাড়া ভবনে বসে এমন কোন অপরাধ নেই,যে তারা করছে না। নারী দিয়ে দেহব্যবসা-মাদক ব্যবসা, ব্লাকমেইল, যুবকদের দিয়ে মাদক ক্রয়-বিক্রি সহ মাদকের আসর বসিয়ে দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ভংঙ্কর মাদক বানিজ্য।
তবে নগরীর পোর্ট রোড এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিকের বেশি আবাসিক হোটেল রয়েছে। সব অপকর্মের কেন্দ্রস্থল বানিয়েছেন হোটেল মালিক ও কর্মচারীরা। তবে মাঝে হোটেল গুলো প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেডের সদস্যদের গ্রেফতার করলেও চক্রের মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে! তাদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনের তেমন কোন কঠোর তদন্ত কিবাং ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। মূল হোতাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে দিন দিন হচ্ছে তারা বেপোয়ারা।
নগরীর বিভিন্ন হোটেলকে মাদক ব্যবসায়ী, খুনি, ছিনতাই ও ডাকাত চক্রের সদস্যরা ব্ল্যাকমেইল করার চক্র, প্রেমের ফাঁদে পেলে প্রেমিকার ‘আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারন করে নানা কৌশলে ব্ল্যাকমেইল’ চক্র, মাদকের গডফাদাররা সহ সদ্য নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে এখন ব্যবহার করছেন তারা। পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে হোটেলগুলোতে দিন দিন অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে বলে সচেতন মহলের দাবি।
গত ৩/৪ মাস ধরে আবাসিক হোটেল গুলোতে দিন রাত ২৪ ঘন্টাই আসা যাওয়া করে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে অপরাধ জগদের সদস্যরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোটেল ম্যানেজার বলেন, এক থানায় পুলিশের কয়েক জন সদস্য এবং ডিবি পুলিশের কয়েকজন সদস্য এক জায়গায় দীর্ঘদিন চাকরি করার সুবাদে অসাধু হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠেছে। যার ফলে হোটেল ব্যবসায়ীরা কাউকে কোনো তোয়াক্কা না করে দেদার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন অপরাধমূল কর্মকান্ড।
গতকাল নগরীর পোট রোড এলাকায় সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন মহাসিন মার্টেক থেকে শুরু করে পোর্ট, ফলপট্টি, পোর্ট রোড ব্রিজ পর্যন্ত গড়ে উঠেছে শতাধিক আবাসিক হোটেল। এছাড়াও রূপতলী বাস র্টামিনাল এবং নথুল্লাবাদ বাস র্টামিনাল এলাকায়ও রয়েছে প্রায় ৩০ টির মত আবাসিক হোটেল। সেখানের প্রায় হোটেলেই একই অপরাধ কর্মকান্ড চলছে। যা প্রশাসনের ধরাছোয়ার বাহিরে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, নগরীর পোর্ট রোড এলাকার টোকাই শিপনের মালিকানাধীন হোটেল রয়েল, সী প্যালেস, স্বাগতম, বের্লেস পার্ক সংলগ্ন গ্রান্ড পার্কের পাশে হোটেল চারু-কারুতে দিন রাত মাদক ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের আনা থাকে। শুধু তাই নয় এই হোটেল গুলো পরিচালনার দায়িত্বে থাকা টোকাই শিপনের রয়েছে নারী পাচারের সিন্ডিকেট।
তবে একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, বরিশালে আবাসিক হোটেলে যত অপরাধমূল কর্মকান্ডের ঘটনা ঘটে এবং ঘটেছে তার মধ্যে সব চেয়ে টোকাই শিপনের হোটেল গুলোতেই বেশি ঘটনা ঘটেছে। আর শিপনের হোটেল থেকে প্রায়ই মাদক ও নারীসহ পুলিশ যাদের আটক করেন তাদের মূল হোতা টোকাই শিপন থাকে সব সময়ই ধরাছোয়ার বাহিরে।
এছাড়াও হোটেল অতিথি, সিভিউ, বরগুনা হোটেল, আমতলী হোটেল, হোটেল আজ, রয়েল প্যালেস, ভোলা হোটেল, বিউটি সিনেমা হল এলাকায় অন্তরা আবাসিক হোটেল, হোটেল গালিব। বিউটি রোড ও আশপাশে গালিব, অন্তরা, এয়ার-ফারুক, বন্ধুজন, গোল্ডেন প্যালেস, হাওলাদার বোডিং সহ ছোট ছোট বোডিং গুলোতে ভ্রম্যামান পতিতা দিয়ে দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা করানো হচ্ছে।
এসব হোটেল গুলোতে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন কিছুতেই বন্ধ হচ্ছেনা তাদের এই অপরাধমূল কর্মকান্ডের বানিজ্য। এরা আবাসিক হোটেলের নামে নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা করে যাচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে।
নানা ছলে বলে কৌশলে খদ্দেরকে হোটেলে নিয়ে যায়। এরপর তাদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া সাথে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে একাধিক। পাশাপাশি মাদক চক্রটি বিভিন্ন হোটেলে খদ্দের কাছে ইয়াবা ,গাঁজা বিক্রি করে থাকে।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় এসব হোটেলে খদ্দের নিয়ে নারী দিয়ে ছবি তুলে আটকিয়ে রেখে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। ব্লাক মেইল করে ভয় দেখানো হয়। আবার অনেক সময় ছেলে মেয়ে কিংবা স্বামী স্ত্রী একসাথে চলাচল করলে হাত ধরে টান দিয়ে হোটেলে আসতে বলে। এতে করে সামাজিক ভাবে অপদস্থ হয় সাধারন মানুষ। বেশ কিছুদিন আগে জোড়ালো অভিযান পরিচালনা করে ডিবি সদস্যারা। এসময় শাস্তি হিসেবে ভবন মালিক দায়ী থাকবে বলে হুশিয়ারী দেয়া হয়। এতে অনেক হোটেলেই তাৎক্ষনিক দেহ ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু সম্প্রতি বড় কোন অভিযান না থাকায় আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এসব হোটেল মালিক ও দেহ- মাদক ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সাধারন মানুষ ও সচেতন মহল।
হাওলাদার বোডিংয়ের রবিউলের জমজমাট ইয়াবা ও নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা ॥
বিউটি রোডের আবাসিক হোটেলগুলোতে মেয়ে সরবরাহ করেন রবিউল। সে অসাধু পুলিশ ও কথিত সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে এনে একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
সর্বশেষ ২০২৫ চলতি বছরের ৫ অক্টোবর দুপুরে বরিশাল নগরীর পোর্ট এলাকার আবাসিক হোটেল সী প্যালেসের দুটি কক্ষ থেকে পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীকে ১৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের অভিযানিক টিম। আটকৃত আসামীরা হলেন, হোটেল সী প্যালেসের ম্যানেজার ফারুক হাওলাদার, মাসুদ হাওলাদার ওরফে কালা মাসুদ, আগ্রানী বাড়ৈই, আল আমিন রাহাত। তারা সবাই নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
গত ৫ জুলাই নগরীর পোর্ট রোড হোটলে স্বাগতমে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ি’র পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৬০ পিস ইয়াবাসহ এক যুবককে আটক হয়। ১২ সেপ্টেম্বর নগরীর পোর্ট রোডস্থ আবাসিক হোটেল “খান” থেকে মাদক সহ ৭ জনকে আটক পুলিশ। ১০ সেপ্টেম্বর নগরীর দু’টি আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অপরাধে ১৮ জনকে কোতয়ালী মডেল থানার আওতাধীন স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা। ২৪ মার্চ বালুমহাল ইজারার দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সেনাসদস্যকে অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
পরে রাতে নগরীর রিচমার্ট আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অপহৃত সেনাসদস্য জাফরকে উদ্ধার করা হয়। এসময় হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব, বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করে সেনাবাহিনী। এঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করেন।
২৭ আগস্ট গভীর রাতে নগরীর পোর্ট রোড এলাকার হোটেল রোদেলা থেকে আলোচিত টিকটকার মাহিয়া মাহিকে এক পুরুষ সঙ্গীসহ আটক করেছে পুলিশ।
১ জুলাই আবাসিক হোটেল স্বাগতমে অভিযান চালিয়ে সাগর মোল্লা ওরফে শফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকে ৬০ পিস ইয়াবাসহ এক জনকে আটক করা হয়।
২০২৪ সালে বরিশাল নগরী একটি হোটেলে আসা নারী ও দম্পতিদের স্পর্শকাতর ভিডিও ধারণ করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করে চক্রটি। ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। ১১ সেপ্টেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কের তথ্য সূত্রে অভিযান চালিয়ে হোটেল গালিব থেকে নারী-পুরুষসহ সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২১ জানুয়ারি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। ৬ মার্চ বরিশাল নগরীর বিভিন্ন হোটেলে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার ২৫ জনকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। ২০ এপ্রিল রাতে ফেসবুকে আবাসিক হোটেলের নামে পেজ খুলে নারী-পুরুষদের জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও চলতি বছর ২০২৫ সালে আরো বরিশালের আবাসিক হোটেল থেকে বিপুল সংখ্যক মাদক সহ প্রায় শতাধিকের বেশি আটক করেছি পুলিশ।
একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, অধিকাংশ হোটেলের রুমে মাদক সেবন ও জুয়ার জন্যও ভাড়া দেয়া হয়ে থাকে। হোটেলের লোকজন মাদকসেবীদের চাহিদা অনুসারে ফেনসিডিল, ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য এনে দেয়।
মাঝে মাঝে গণমাধ্যমে লেখালেখির কারণে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদকসেবী ও অনৈতিক কাজে আসা নারী-পুুরুষকে গ্রেফতার করেও টাকার বিনিময়ে পথিমধ্যে অনেককে ছেড়ে দেয়া হয়। চালানো হয় নামকাওয়াস্তে অভিযান। মাঝে মাঝে কাউকে কাউকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নিয়ে সাজার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। কিন্তু সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূল হোতা এবং হোটেল মালিকরা।
এবিষয়টি কোতয়ালী মডেল থানার অফির্সা ইনর্চাজ মিজানুর রহমানের সাথে কথা তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইতিপূর্বে আমরা পোর্ট রোড এলাকার আবাসিক হোটেল গুলোতে অভিযান চালিয়ে কম বেশি মাদক উদ্ধার করেছি।
বরিশাল সচেতন নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বলেন, দিন দিন মাদকের ভয়াবহতা বাড়ছে। এর প্রভাবে আমাদের মেধাবী তরুণরা বিপথগামী হচ্ছে। মাদক থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দরকার। এজন্য সব শ্রেণিপেশার মানুষের সচেতনতাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান দরকার। অন্যথায় এ সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পাব না। আরো বলেন, আমরা প্রায়ই পত্রিকার পাতায় দেখতে পাই, বরিশালের আবাসিক হোটেলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক সহ গ্রেফতার করেন মাদক ব্যবসায়ীদের। তবে মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা গ্রেফতার হলেও মূলহোতারা হাতে ধরাছোয়ার বাহিরে। প্রশাসন যদি ঘটনা গুলোর সঠিক তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারে তাহলে অনেকটা কমে আসবে মাদক বানিজ্য এবং অপরাধ মূলক কর্মকান্ড।
তিনি আরো বলেন, আমরা যে আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়েছি সেখানেই মাদক পেয়েছি। বর্তমানে আবাসিক হোটেল গুলোতে মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা একটু বেড়েছে। তবে মাননীয় পুলিশ কমিশনার স্যারে সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে বড় ধরনের একটি অভিযান খুব শিগ্রই পরিচালনা করা হবে।
বরিশালের আবাসিক হোটেল গুলোতে বেড়েই চলছে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড এবিষয় নিয়ে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বেলাল হোসাইন বলেন, কিছু দিন ধরে আবাসিক হোটেল গুলোতে কিছু বিছিন্ন ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কমিশনার স্যারে সাথে কথা বলে খুব শিগ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও আমাদের গোয়েন্দা শাখার নজরধারীতে রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আর আপনি যে বিষয়টি বলেছেন আবাসিক হোটেলে মাদক বিক্রেতাদের নিরাপদ স্থান হিসেবে পরিনিত হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে বিষয় গোয়েন্দা শাখাকে নজরে রাখতে বলছি। তবে মাদক ব্যবসায়ীরা রুট পরির্বতন করে আবাসিক হোটেলকে নিরাপদ স্থান হিসেবে নিয়েছে বিষয়টি হতে পারে সত্য। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব আকারে নিচ্ছি। তবে এরকমে কোন ঘটনার তথ্য আমরা পেলে অভিযুক্ত আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা যে ভাবে মাদকের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারনা চালিয়েছি এবং বর্তমানে আমরা যেরকমের কাজ করছি, তাতে বরিশালে মাদক অনেকটা কমে আসছে। যেমন আমাদের পাশাপাশি মাদক স্পর্ট গুলো এখন সাধারন মানুষ পাহারা দেয়।
পুলিশ কমিশার আরো জানিয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ মাদক পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের রয়েছে। নগরীতে মাদক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন ৪ থানা এলাকায় দিন দিন মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে। তাই প্রশাসনের কাছে নগরবাসী দাবি জানিয়েছে, মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার ।








































