নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের গৌরনদী ও পিরোজপুরের উপজেলা গৌরনদী-নাজিরপুরে মধ্যরাতে ডাকাত হানার আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। তারা রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন, করছেন মাইকিং।
দুই উপজেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গৌরনদী মডেল ও নাজিরপুর থানা থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার (২৭ নভেম্বর) রাত একটার দিকে মসজিদের মাইকে ডাকাত হানার ঘোষণা দেওয়া হয় গৌরনদী উপজেলায়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলার ভূরঘাটা, খাঞ্জাপুর, ইল্লা, বার্থী, কটকস্থল, সাউদের খালপাড়, ও টরকী গ্রামে ডাকাত হানার খবরে অস্থিরতা দেখা দেয়।
রাতভর মসজিদের মাইকে বার বার ঘোষণা দিয়ে ও বিভিন্নভাবে গ্রাম পাহারা দেন স্থানীয়রা। কিন্তু সারা রাতে কোথাও কোনো জায়গায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। গৌরনদী থেকে এ খবর চলে যায় পাশের মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলায়। সেখানেও স্থানীয়রা ডাকাতের ভয়ে অস্থির হয়ে পড়েন।
গৌরনদীর বাসিন্দা এমদাদ হোসেন, সৈয়দ নকিবুল হকসহ অনেকেই জানান, তারা ঘুমাচ্ছিলেন। মসজিদের মাইকের আওয়াজ পেয়ে জেগে ওঠেন। জানতে পারেন গ্রামে ডাকাত পড়েছে। তারা ডাকাত ধরার প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। পরে জানতে পারেন সংবাদটি গুজব।
বিষয়টি নিয়ে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, ডাকাতের বিষয়ে মসজিদ থেকে জানানো হয়। কিন্তু গৌরনদীর কোথাও কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু পুলিশ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি গ্রামে একাধিক মোবাইল টিম করে টহল দিয়েছে।
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায়ও একই গুজবে রাতভর ঘুমাতে পারেননি বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ঘোষণা ও স্থানীয় বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে পাহারা দেওয়া হয়।
উপজেলার দেউলবাড়ি দোবরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মো. অলিউল্লাহ বলেন, রোববার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ করে স্থানীয়দের মাঝে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সচেতন করতে সকল মসজিদে মাইকিং করাসহ মোবাইলের মাধ্যমে সচেতন করা হয়। গ্রামের নারী-পুরুষ রাতভর জেগে থেকে দল করে পাহারা দেন।
বুইচাকাঠী গ্রামের মো. আল আমীন হাজরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে গ্রামে ডাকাত ঢুকতে পারে বলে একে অপরকে রাতে সজাগ থাকার জন্য ফোন দিয়ে জানানো হচ্ছিলো। পরে ওই রাতে গ্রামের লোকজন দল বেঁধে পাহারা দিয়েছেন।
নাজিরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সন্ধ্যায় এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারারাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গ্রুপ করে থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা পাহারা দেন।








































