বরগুনায় মাদক কেনাবেচায় বাধা দেওয়ায় তরুণকে কুপিয়ে হত্যা
ফেব্রুয়ারি ০২ ২০২৫, ১২:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরগুনার তালতলীতে পূর্বশত্রুতার জেরে এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন আরেকজন।
গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কচুপাত্রা পুরাতন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে।
নিহত আরাফাত খান (২২) উপজেলার কচুপাত্রা এলাকার আবদুল জলিল খানের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হাবিব উল্লাহকে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরাফাত খানের বাবা আবদুল জলিল খান অভিযোগ করেন, ‘মাদক বেচাকেনায় বাধা দেওয়ায় আমার ছেলেকে শহীদ সিকদার ও তাঁর ছেলেরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
অভিযুক্ত শহীদ সিকদারের বাড়ি উপজেলার পচাকোড়িয়া ইউনিয়নের কলা রং গ্রামে। ঘটনার পর থেকে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। এ জন্য তাঁদের কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি।
নিহত আরাফাত খানের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহীদ সিকদার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক কেনাবেচার অভিযোগ আছে।
গত বৃহস্পতিবার শহীদ সিকদারের ছেলে সোহেল সিকদার ও আরাফাত সিকদার কচুপাত্রা বাজারে মাদক বিক্রি করছিলেন। তখন আরাফাত খান তাঁদের বাধা দেন।
এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। গতকাল রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে আরাফাত কচুপাত্রা পুরাতন বাজারে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী হাবিব উল্লাহ।
তখন শহীদ সিকদার, তাঁর দুই ছেলে সোহেল সিকদার, আরাফাত সিকদার ও ভাতিজা বায়েজিদ সিকদারসহ ১০ থেকে ১২ জন মোটরসাইকেলের গতি রোধ করেন। তাঁরা আরাফাত ও হাবিবকে কুপিয়ে জখম করেন।
পরে স্থানীয় লোকজন ওই দুজনকে উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় আরাফাতকে মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসক রাসেদ মাহমুদ। আহত হাবিব উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত হাবিব উল্লাহর বাবা ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, ‘শহীদ সিকদার, তাঁর দুই ছেলে ও ভাতিজা মিলে আরাফাতকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। আরাফাতের মোটরসাইকেলে আমার ছেলে হাবিব উল্লাহ ছিল। তাঁকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জালাল বলেন, কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে সাগর নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে।
এরপর সেখানে সোহেল নামের এক ব্যক্তি এসে সবাইকে মারধর করেন। এতে মোটরসাইকেলের চালক আরাফাত খান মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।








































