বন্ধ সেতুর নির্মাণ কাজ, ভোগান্তিতে পর্যটকরা

জানুয়ারি ১৭ ২০২৫, ২১:১৫

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার তালতলীতে উচ্চতা জটিলতায় আড়াই বছর ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ টেংরাগিরি ইকোপার্কে যাওয়ার একমাত্র সেতুটির। এতে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে ইকোপার্কটি।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে উপজেলার দক্ষিণা খালের ওপর (স্থানীয় নাম সোনাকাটা খাল) একটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এ প্রকল্পে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৭ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি টাকা। সেতুটির উচ্চতা ধরা হয় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ থেকে ১০ ফুট। প্রক্রিয়া শেষে বরিশালের আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেতুটির দুই পাড়ের অর্ধেক কাজ শেষ হওয়ার পরেও মাঝখানে ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যর স্প্যানটি বসানো হয়নি আড়াই বছরেও। সেতুর নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে যোগাযোগের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এতে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে টেংরাগিরি ইকোপার্কটি। কিছু পর্যটক এলেও তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। এতে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়তে ইকোপার্কটি।

টেংরাগিরি ইকোপার্কে ঘুরতে আসা পর্যটক এম. মিলন বলেন, সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় খালটি ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে ইকোপার্কে ঢুকতে হয়। এতে আমাদের ভোগান্তি হয়। তাই আমাদের দাবি সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য।

স্থানীয় ইউপি সদস্য টুকু সিকদার বলেন, টেংরাগিরি ইকোপার্কের খালের ওপর একটি লোহার ব্রিজ ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ব্রিজটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ শুরু হয়। সেতুর উচ্চতা কম হওয়ায় স্থানীয় জেলেরা আপত্তি জানায়। কারণ সাগর ও খালের পানি বেড়ে যাওয়ার সময় এই সেতুর নিচ দিয়ে কোনো ট্রলার কিংবা নৌযান চলাচল করতে পারবে না। পরে স্থানীয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্মান কাজ স্থগিত করে দেয়া হয়। সেতুটির কাজ অসমাপ্ত থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এখানে আসা পর্যটক ও স্থানীয় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জলতরণীর প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, তালতলী ও আমতলী উপজেলার সমন্বয়ক আরিফ রহমান বলেন, সেতুর নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় ইকোপার্কটি পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব কমে যাচ্ছে। দ্রুত সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু করার দাবি জানান তিনি।

সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফরাজী মো. ইউনুচ বলেন, তাদের (ঠিকাদার ও এলজিইডি) পরিকল্পনায় ভুল ছিল। সেই ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্মাণকাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।

বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. মেহেদী হাসান খান বলেন, আমি যোগদান করার আগে থেকেই সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। সেতুর সংশোধিত নকশা অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ পেতে সময় লেগেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে জেনেছি যে দ্রুতই এটির অনুমোদন হবে। অনুমোদন পেলেই এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে আবারও ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও