বরগুনায় মুদি দোকানে চাঁদা দাবি, বিএনপির ৫ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

আগস্ট ২৯ ২০২৪, ২০:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরগুনার আমতলীতে চাঁদা দাবির অভিযোগে বিএনপির উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব তুহিন মৃধাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে মামলাটি দায়ের করেন বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকিরের অনুসারী চলাভাঙ্গা গ্রামের হুমায়ুন কবির মিল্টন নামে এক মুদি মনোহরি দোকানদার।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা গ্রামের আঃ ছত্তার মৃধার ছেলে হুমায়ুন কবির মিল্টন চলাভাঙ্গা গ্রামে নির্মানাধীন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুইসিং স্টেশনে শ্রমিক সরবরাহ করে আসছেন। খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় তার একটি মুদি মনোহরি দোকান রয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ তুহিন মৃধার নেতৃত্বে ধারালো দা রামদা ও লাঠি নিয়ে ১৫ থেকে ২৫টি মোটর সাইকেল যোগে ওই দোকানের সামনে গিয়ে তুহিন মৃধা তার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।হুমায়ুন কবির মিল্টন চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামীরা তাকে ব্যাপক মারধর ও দোকান ভাঙচুর করে ৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে। ওই সময় হামলাকারীরা দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ ২ লক্ষ টাকাও নিয়ে যায়।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হুমায়ুন কবির মিল্টন বাদী হয়ে বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা, আমতলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হিমু আকন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল আকন, উপজেলা যুবদলের ১নং সদস্য সামসু চৌকিদার ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদি হাসান রাকিবকে আসামী করে একটি মামলা করেন।আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে ৫ আসামীর বিরুদ্ধে আমতলী থানাকে এজহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।

বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ তুহিন মৃধা চাঁদা দাবীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, মালামাল ও নগদ টাকা লুট কোনটিই আমি করি নাই। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকিরের নেতৃত্বে তার ছেলে রাহাত ফকির খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি করছিল। আমি তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। এজন্য জালাল ফকির আমার উপড় ক্ষিপ্ত হয়ে তার নিজের লোক দিয়ে আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা করেছে।

তিনি ওই সাজানো মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আরো বলেন, বুধবারের ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ চেক করলেই কারা দোকান ভাঙচুর করেছে তার আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। উল্লেখ্য, বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুরুপের মধ্যে চাঁদাবাজির পাল্টাপাল্টির অভিযোগে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের ৭ জন আহত হয়। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ বলেন, আদালতের আদেশ আমরা এখনো হাতে পাইনি। হাতে পাওয়া গেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও