পশু হাসপাতালের চিকিৎসক এখন পিয়ন সমস্যায় জর্জরিত 

নভেম্বর ১৭ ২০২২, ১৯:০১

সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল।। জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে নেই উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন। এতে ধীর গতিতে চলছে অফিসের কার্যক্রম। ফলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত খামারীরা সেবা পাচ্ছেন না।

১৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসুস্থ পশু নিয়ে এসেছেন খামারিরা। আবার অনেক খামারিরা এসেছেন প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার কাছে পশুপালন সম্পর্কিত পরামর্শ নিতে।

অধিকাংশ পশু–পাখি পোষা মালিকেরা নিয়ে এসেছেন চিকিৎসা দেয়ার জন্য। কিন্তু অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় তাঁরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উপ-সহকারি প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ অফিসার মো: হাবিবুর রহমান কে দেখা যায় মোবাইল ফোনে কথা বলে একটি অসুস্থ বিড়ালকে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। এ ছাড়া অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময়মতো অফিসে আসেন না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

চলতি বছরের ৪ আগস্ট উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলাউদ্দিন মাসুদ বদলির কারণে পদটি শূন্য হলে প্রায় ৩ মাস পরে নব যোগদানকৃত প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আসলেও তিনি সরকারি কাজে দেশের বাহিরে রয়েছেন। বর্তমানে পদটিতে দায়িত্ব পালন করছেন উপসহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো: জাকির হোসেন।

উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো: জাকির হোসেন জানান, বাকেরগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদ শূন্য হওয়ার পর থেকে আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি।

রয়েছে জনবলসংকট, সহকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নেই। উপসহকারী ৪ জন থাকার কথা রয়েছে দুই জন। অফিস সহকারী পথ শুন্য। কৃত্রিম প্রজনন সেবা কর্মি ১৪ টি ইউনিয়নে থাকার কথা থাকলেও সেখানেও রয়েছে সংকট।

অপরদিকে, কৃত্রিম প্রজনন সেবা কর্মিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে মাঠ পর্যায়ে অর্থের বিনিময়ে গবাদিপশুর চিকিৎসা দিয়ে আসার।বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রনিসম্পদ অফিসে সেবা নিতে আসা কয়েকজন লোকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দপ্তরটিতে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন কর্মকর্তা না থাকায় পশু চিকিৎসা ও লালন-পালনের বিষয়ে পরিপূর্ণ সেবা পাচ্ছেন না তাঁরা।

অনেকে অভিযোগ করে বলেন পাঁচ বার পশু হাসপাতালে এসেও মুরগির টিকা পাইনি। নিরুপায় হয়ে অধিক মূল্যে ফার্মেসি থেকে ক্রয় করতে হয় মুরগির টিকা।

প্রনিসম্পদ অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে হাঁস মুরগির টিকা প্রদান করা হয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার। গরু ছাগলের ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ১১ হাজার ৯৭০।

যাহা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। জনবল সংকট ও ডক্টর না থাকায় কম্পাউন্ডার ও পিয়ন গবাদি পশু ও হাঁস মুরগির চিকিৎসা দিয়ে আসছে।

এছাড়াও ভেটেরিনারি হাসপাতালে আনা অধিকাংশ পশু–পাখিই পোষা। মালিকেরা নিবিড় সেবার জন্য সেগুলোকে হাপাতালে রাখতে চান। কিন্তু সেই সুযোগ না থাকায় বাড়ি নিয়ে যেত হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আ/ মাহাদী

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও