বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনার তালতলী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ‘চায়না দুয়ারি’ জাল দিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার। কারেন্ট জালের থেকেও ভয়ংকর এক জাল। স্বল্প ব্যয়ে এবং স্বল্প পরিশ্রমে অধিক আয়ের উৎস হওয়ায় জেলেদের কাছে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি। নদী-খাল-বিলে এসব ফাঁদ পেতে ব্যাপক হারে ছোট মাছ শিকার করছে জেলেরা। শুধু দেশি জাতীয় ছোট মাছ নয় বরং এই জালে আটকা পড়ে সকল প্রজাতির জলজ জীব। এতে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছের বিলুপ্তির শঙ্কা প্রকাশ করছেন সচেতনমহল।
তালতলীতে ‘চায়না দুয়ারি জালে’ হুমকির মুখে দেশি মাছ
মার্চ ২৪ ২০২৩, ১৯:৩৪
স্থানীয়রা জানান, এই ফাঁদ বসালে নদীর পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়; এর জালের ছিদ্র ছোট হওয়ায় ছোট-বড় কোনো মাছ বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান শুরু করলেই খবর পেয়ে জাল তুলে ফেলে ওই সকল জেলেরা। দাম কম হওয়ায় অনেকে নতুন জাল কিনে পুনরায় একই কাজ করেন। ছোট বগী বাজারে ও বরগুনা জেলায় কিছু ব্যাবসায়ীরা এই জাল বিক্রি করে থাকেন।
পায়রা নদী থেকে বেরিয়ে আসা এ পানিতে রয়েছে মাছের ডিম ও পোনা। ক্ষুদ্রাকৃতির কোনো মাছের পক্ষেও সম্ভব নয় এ ফাঁদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার। অবৈধ চায়না দুয়ারি জালে রেনু পোনাও রেহাই পাচ্ছে না।
তালতলী সরকারি কলেজের জীববিজ্ঞান বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক বিধান চন্দ্র রায় বলেন, জালের গিঁটের দৈর্ঘের কারনে আইন মোতাবেক এই জালটি আমাদের দেশে পুরোপুরি নিষিদ্ধ। ছোট ছোট মাছগুলো টিকিয়ে রাখা জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়া বড় মাছের পোনা যদি ধরে ফেলা হয়, তাহলে মা মাছের সংকট তৈরি হবে। তখন মাছের উৎপাদনও হ্রাস পেতে শুরু করবে।’ এই জাল শুধু মৎস্য ভান্ডার ধ্বংস করছে না, প্লাস্টিকের তৈরি হওয়ায় এটা দীর্ঘদিন নষ্ট হয় না।
এটা পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। তাই এই জাল উৎপাদন বিপণনের সাথে জারাই জড়িত তাদের ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা দরকার ।
এ ব্যাপারে তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম জানান, আমরা প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।








































