ঈদকে ঘিরে নতুন অর্ডার বন্ধ: দম ফেলার ফুসরত নেই পোশাক তৈরির কারিগরদের

মার্চ ২৭ ২০২৪, ১২:৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: ঈদুল ফিতর মানেই নতুন কাপড় কেনার ধুম। কেনা কাপড়ের পাশাপাশি ঈদে চাহিদার তুঙ্গে থাকে বানানো কাপড়ের। নিজস্ব মাপ ও ডিজাইন করে নিজের পোশাক বানিয়ে নেওয়া যায় বলেই দর্জির কদর একটু বেশি।নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে নামিদামি টেইলার্সগুলোর সামনে ‘ঈদের আগে নতুন অর্ডার নেয়া বন্ধ’ লেখা কাগজ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রমতে, দর্জিদের এখন দম ফেলার ফুসরত নেই। ঈদ উপলক্ষ্যে পূর্বের অর্ডার নেওয়া জামা-কাপড় সঠিক সময়ের মধ্যে ডেলিভারি দেওয়ার জন্য তারা এখন দিন-রাত সমানতালে কাজ করে চলেছেন।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকার টেইলার্সগুলো ঘুরে দেখা গেছে, টেইলার্সের মেশিনগুলো চলছে বিরামহীন। কেউবা জামা, পাঞ্জাবি কাটছেন। কেউ ডিজাইন করছেন, আবার কেউ দিচ্ছেন সেলাই। অনেকেই লাগাচ্ছেন বোতাম এবং কেউ কেউ করছেন লন্ড্রির কাজ।

কারও সময় নেই কোনোদিকে তাকানোর। দর্জির হাতের ছোঁয়ায় একটি কাপড় রূপ নিচ্ছে নান্দনিকভাবে। মেয়েদের থ্রি-পিস সেলাইয়ের জন্য একেক টেইলার্সে একেকভাবে দাম রাখা হচ্ছে। জামা তিন থেকে পাঁচশ’, গাউন আটশ’ থেকে এক হাজার, সুতি থ্রি-পিস তিন থেকে পাঁচশ’ টাকা, জর্জেট থ্রি-পিস পাঁচ থেকে সাতশ’ টাকা করে রাখা হচ্ছে।

নগরীর কাটপট্টি এলাকার এ্যারো লেডিস টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী আল-আমিন সিকদার বলেন, আমাদের এখন অনেক কাজের চাপ। গত তিনদিন হলো ঈদের আগে নতুন কাজের অর্ডার নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সেলাইয়ের দাম আগের চেয়ে একটু বেড়েছে। ডিজাইন ও কাপড়ের মান বেধে দাম আলাদা হয়ে থাকে।

অপরদিকে নগরীর পুরুষদের পোষাক তৈরির টেইলার্সগুলো ঘুরে দেখা গেছে, পাঞ্জাবি ও কাবলি ড্রেসের পোষাক তৈরির অর্ডার বেশি নেওয়া হয়েছে। কাজের চাপে অধিকাংশ নামি-দামি টেইলার্সগুলোতে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। দোকানিরা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে সেহরির আগ পর্যন্ত তারা কাজ করছেন। চাপ সামলাতে তারা অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও