ড্রাম চুরির অপবাদ: যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে নির্যাতন
মার্চ ০৬ ২০২৪, ১২:৩৪
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: একটি ড্রাম চুরির অপবাদে সিফাত(২২) নামের এক যুবককে মাহফিল থেকে তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে । সিফাত কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা গ্রামের মৃত অব: সেনা সদস্য সুলতান আহমেদের ছেলে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (৩ মার্চ) পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকায় ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার (৪ মার্চ) মুমূর্ষ অবস্থায় স্বজনরা উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। মঙ্গলবার দুপুরে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় সিফাত যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। সঙ্গে তার মা কহিনুর বেগম এবং ভাবী নাজমা ঘটনার আকষ্মিকতায় আতঙ্কিত। তারা এঘটনার বিচার দাবী করেছেন।
তারা জানান, রোববার (৩ মার্চ) রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সিফাতকে মাহফিল থেকে তুলে এনে হাত-পা বেঁধে তার অন্ডকোষে পদাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে কাফলা কচা আর স্টীল পাইপ দিয়ে একের পর এক বেধরক পিটুনি দেয় তাকে। এসময় শরীরে টর্চার চালিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড় করে স্বীকারোক্তি আদায় করে বলে জানায় সিফাত। কন্ঠনালির উপরে উঠে পা দিয়ে পাড়ায়।
অসুস্থ সিফাত বলেন, ওই রাতে আমি অজ্ঞান হয়ে পরলে ওরা আমাকে টক জাতীয় কিছু খাওয়ায়। আমাকে ওরা মেরেই ফেলতো। তবে কি কারনে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও খুন করেনি বুঝতে পারছি না। আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছে। সিফাত আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের সলেমান গাজী রহমান গাজী, রহিম মোল্লা, রুবেল, বেল্লাল, শুভ।
কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. গোলাম নাসির বলেন,এমন বর্বরোচিত একটা ঘটনায় আমি হতবাক হয়েছি। যে ছেলেটিকে মারা হয়েছে; সে ছেলেটি চোর না। ও একটা সহজ সরল ছেলে। অবশ্যই বিচার হতে হবে। আগে ছেলেটি সুস্থ হোক।
সিফাতের মা কহিনুর বেগম বলেন, আমার ভাই পুলিশকে জানিয়েছে। আগে ছেলের চিকিৎসা তারপরে মামলা করতে চাই। আমি আমার ছেলের উপরে নির্যাতনের বিচার চাই। পাথরঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, এ রকমের ঘটনা আমরা জেনে হাসপাতালে গিয়ে আহত সিফাতের জবানবন্দি গ্রহণ করেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।









































