শেবাচিমে চিকিৎসকের আজান্তেই মিলছে সরকারী ঔষুধ!

ডিসেম্বর ১২ ২০২৩, ১৭:৩১

আমিনুল সোহাগ ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বহিঃবিভাগে চিকিৎসকদের রুম থেকে চিকিৎসকদের আজান্তে বের হচ্ছে তাদের স্বাক্ষরিত সরকারী বিনামূল্যের ওষুধের স্লিপ। শুধু তাই নয় চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া মিলছে গ্যাসের ঔষধ, ক্যালশিয়াম ও এন্টিব্যায়ট্রিকসহ বিভিন্ন ধরনের ঔষুধ।

তবে সরকারী স্টাফরা এসব ঔষুধ নিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই মাত্র একটি ছোট সাদা কাগজের স্লিপে। এদিকে হাসপাতাল কতৃপক্ষের কোন নজর নেই বলে চলে।

রবিববার ১১ ডিসেম্বর সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসকের কক্ষ ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের সরকারী কর্মচারী ও তাদের স্বজনরা এসে নিয়ে যাচ্ছে রোগীদের বরাদ্দের ঔষুধ।

এরকমেরই কয়েকটি ঘটনা প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। দেখা গেছে হাসপাতালের সার্জারী বহিঃবিভাগের আবাসিক সার্জন (শিশু সার্জারী) ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সামনে থাকা কর্মচারী রাসেল চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই নিজেই চিকিৎসকদের স্বাক্ষর দিয়ে তার পরিচিত লোকদের কাছে বিতরন করেন ঔষুধের স্লিপ।

এসময় এক রোগীর স্বজন হাফিজা বিষয়টি রাসেলের কাছে জানতে চাইলে রাসেল বলেন তাহারা হলো হাসপাতালের স্টাফ। এদের ঔষুধ নিতে কোন টিকিট লাগে না, আপনার সমস্য কি বলেন। এনিয়ে হাসপাতালের স্টাফ রাসেল ও রোগীর স্বজন হাফিজার মধ্যে তর্কবিতর্ক দেখে এক সাংবাদকর্মী ঔষুধ বিতরন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ইনর্চাজ লিটনকে বিষয়টি জানালে তিনি তৎক্ষনিক ছুটে যান অভিযুক্ত স্টাফ রাসেলকে কাছে।

বিষয়টির সত্যতা পেয়ে রাসেলকে চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া সরকারী কোন ঔষুধের সিøপ কাউকে না দেওয়ার জন্য হুশিয়ারী করেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কবির নামে এক রোগী বলেন, নামেই রয়েছে সরকারী হাসপাতাল।

কিন্তু এখানে এসে ডাক্তার দেখানোটা ফ্রি হলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে শুরু করে ঔষুধ কিনে খেতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন আমি একজন অসহায় মানুষ। চিকিৎসার জন্য আমার দেশের চেয়ারম্যান এর কাছে সাহায্যের জন্য গেলে তিনি আমাকে বলেন বর্তমান সরকারের আমলে চিকিৎসা করতে তেমন কোন খরচ নেই। তুমি বরিশাল বড় হাসপাতালে যাও। সেখানে ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে ঔষুধ বিনামূলে পাবে।  কিন্তু এই শের-ই-বাংলা মেডিকেলে এসে দেখি ডাক্তার দেখানোই শুধু ফ্রি। ঔষুধ মিলছেনা। ডাক্তারের সামনে থাকা কর্মচারীদের কাছে বলা হলে তারা বলেন এই ঔষুধ হাসপাতালের সরবারাহ নেই। বাহির থেকে কিনতে হবে।

এবিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শাহিন এর সাথে কথা বললে তিনি প্রতিবেদকে বলেন, এসব কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। এসময় তিনি আরো বলেন, সরকারী হাসতালে প্রতিটি রোগী কিছু না কিছু ঔষুধ বিনামূলে পাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও