আজ বিজয়া দশমী
অক্টোবর ২৪ ২০২৩, ১০:২০
সুমন নিশাত ॥ শুভ বিজয়া দশমী আজ। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে আজ শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। বিসর্জনের দিনে মঙ্গলবার সকালে শুরু হবে দেবী দুর্গার বিজয়া দশমী পূজা।
সকাল ৯টা ১১ মিনিটের মধ্যে দেবী দুর্গার বিজয়া দশমী বিহিত পূজার মাধ্যমে পালিত হবে দশমী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে এই দিনে আবেগ ও মন খারাপ মিশ্রিত একটি অনুভূতি সৃষ্টি হয়। দশমী এলেই তাদের মনে আসে মায়ের ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর। সাধারণত দুর্গাপূজা শেষ হয় দশমীর মাধ্যমেই।
এই দিনেই দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। সকালে দশমী পূজার মাধ্যমে বিজয়া দশমী পূজা শুরু হবে। দশমী বিহিত পূজা ও দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব।
অর্থাৎ আগামী বছর মহাসপ্তামী শনিবার পড়ায় ২০২৩-এ দেবীর আগমন হবে ঘোটক অর্থাৎ শাস্ত্র অনুসারে এর ফল “ছত্রভঙ্গে স্তুরঙ্গমে” অর্থাৎ সামাজিক, রাজনৈতি ও সামরিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে রাজায়-রাজায়, রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে যুদ্ধ সুচিত হয়। সামাজিক ও রাজনৈতিকস্তরে ধ্বংস ও অস্থিরতা বিরাজ করে। সাধারণত আশ্বিন অথবা কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে “দুর্গাষষ্ঠী”, “দুর্গাসপ্তমী”, “মহাষ্টমী”, “মহানবমী” ও “বিজয়াদশমী” নামে পরিচিত। দুর্গোৎসবের ইতিহাস মূলত শহর কেন্দ্রিক। শহর থেকে এর সূচনা হলেও তা পরবর্তীতে গ্রামবাংলা জুড়ে তার ব্যাপক বিস্তার ঘটে। এক সময় দেশের জমিদার বাড়িগুলিতে একছত্র থাকলেও তা ছড়িয়ে পড়ে সর্বজনীন পুজো রূপে। দুর্গাপুজোর আসল প্রাণটা কিন্তু থাকে গ্রামবাংলার উৎসবের মধ্যে। তবে বাংলাদেশে কীভাবে দুর্গাপুজো শুরু হল, তা নিয়ে নানা কাহিনি প্রচলিত রয়েছে।
চলতি বছর বাংলাদেশে ৩২ হাজারের মতো মণ্ডপে দুর্গাপুজা হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবছর ৩০টির বেশি পুজা মন্দিরের সংখ্যা যোগ হয়। ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার পড়েছে বিজয়াদশমী আজ বিকাল ৫:৪৫ মিনিটে লাগবে দশমী। বরিশালের বিভিন্ন পুজা মন্ডপ ঘুরে দেখা যায় সাধারন দর্শণার্থীর উৎসবের কোন কমতি ছিল না শিশু থেকে কিশোর এবং বৃদ্ধদের মাঝে সবাই ছিল হাস্যজ্জ্বোল।
এবিষয়ে বরিশাল মহানগর পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান বরাবরের তুলনায় এবছর পুজা উদযাপন মুখোরিত করেছে সবাইকে। ভক্তদের উপচেপড়া ভিড় ছিল এবং প্রশাসনের ছিল নজরদারী কড়া নিরাপত্তা ও সুশৃংখলা।









































