পায়রা নদীর তাজা ইলিশ ঘাটেই বিক্রি
আগস্ট ১৮ ২০২৩, ১৩:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরগুনা সদর উপজেলার পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর তাজা রূপালী ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে নদীর পাড়ে বসেই। ব্যবসায়ীরা জানান, দূর থেকে এসে আগ্রহ নিয়ে মাছ কিনছেন ক্রেতারা।
বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে ইলিশ বিক্রি। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর তীরবর্তী বরগুনা জেলার অন্তর্গত বরগুনা সদর উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে দেখা যায় এমন দৃশ্য।
ইলিশ বিক্রেতা মাছুম বলেন, এখানে আমরা দুজন মাছ বিক্রি করি। প্রতিদিন বিকেলে নদী থেকে আনা মাছ সরাসরি আমাদের মাধ্যমে বিক্রি হয় পুরাকাটা ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে। এখানকার জেলেদের পরিবহন খরচ দিয়ে জেলা শহরে মাছ বিক্রি করতে যেতে হয় না।
অন্যদিকে স্থানীয়রা ছাড়াও দূরদূরান্তের মানুষ বরফ ছাড়া তাজা ইলিশ মাছ কিনতে পারেন আমাদের কাছ থেকে। মাছের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেদিন মাছের সরবরাহ বেশি থাকে, সেদিন দাম কম থাকে।
আবার সরবরাহ কমে গেলে মাছের দাম বেড়ে যায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসে এখানে। তাজা মাছের চাহিদা থাকায় দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। তবে নদীতে মাছ তুলনামূলক কম।
তিনি আরও জানান, ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়, ৫০০ থেকে ৬৫০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়, এক কেজি থেকে এক কেজি ৪০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পায়রা নদীর স্থানীয় জেলেরা জানান, রাত থেকে বিকেল পর্যন্ত যে ইলিশ মাছ নদী থেকে ধরি, সেগুলো বিকেলে বিক্রি করে দিই এ ঘাটে। এতে আমাদের সময় এবং পরিবহন খরচ বেঁচে যায়। এখানকার জেলেদের মাছ পুরাকাটা ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। ঘাটের ইলিশ ঘাটেই বিক্রি করছেন জেলেরা।
স্থানীয় মুদি দোকানদার ইয়াকুব বলেন, এ বাজারে ইলিশ মাছ স্থানীয়রাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা যাত্রীরা কেনেন। তাই প্রতিদিনই ভিড় লেগে থাকে এখানে।ক্রেতা ইলিয়াস, বাপ্পি ও তার মামা রাশেদুল বলেন, বাজারে অনেক ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। হয়তো দামও কিছুটা কম। কিন্তু এখানকার ইলিশ একদম তাজা, যা সহজে অন্য কোনো বাজারে পাওয়া যায় না। আমার মতো অনেকেই তাজা ইলিশ কিনতে আসেন পায়রা নদীর পাড়ে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, দেশের সামুদ্রিক মাছ রক্ষায় বিভিন্ন সময় মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে বাস্তবায়নের সুফল এখন ভোগ করছেন জেলেরা। বরগুনার নদীগুলোতে মাছের সংখ্যা বেড়েছে।
এদিকে বরগুনা পৌর মাছ বাজার ব্যবসায়িক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, মৎস্য আড়তদারের মাধ্যমে জেলেরা মাছ বিক্রি না করায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সমিতির মাধ্যমে জেলার সব জেলেদের আহ্বান করছি, তারা যেন আড়তদারের (পাইকারি বিক্রেতা) খুচরা বাজারে মাছ বিক্রি করেন।









































