পাথরঘাটায় দলবেঁধে ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রীর চোখ বেঁধে বসত বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্বামী-স্ত্রী বাধা দিলে ডাকাতদের চিনতে পাড়ায় মো. কবির খানকে(৩৮) কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত কবিরকে আশংকা জনক অবস্থায় প্রথমে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে প্রেরন করেন।
এ ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৩ জুলাই) দিনগত রাতে কোন এক সময় এ ঘটনা ঘটে। এসময় কবিরের স্ত্রী বিলকিস ও দুই শিশু সন্তান তানভির (১১), তামিম (৬) আহত হয়।
কবিরের স্ত্রী বিলকিস বেগম বলেন, প্রতিদিনের মতো রাতে ঘরের সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। রাত অনুমান দেড়টার দিকে সিধকেটে ঘরে প্রথম আমার স্বামীর বিছানায় যায়, কিছুক্ষণ পর আমার স্বামীর চিৎকার শুনে আমি তার কক্ষে যাওয়া মাত্রই আমার চোখ বেঁধে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আমাকে ও আমার দুই ছেলেকে মারধর করে। ডাকাতরা আমাদের কে বেঁধে ঘরের থাকা নগদ ২ লাখ ৪০ হাজার, কানের দুল ২ জোড়া, একটি চেইন, একজোড়া হাতের চুরি, হাতের আংটি দুটি, রুপার নূপুর এক জোড়া নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘরের মধ্যে তিনজন লোক ছিলো এবং তাদের সাথে ঘরের বাইরেও আরও অনেক লোক ছিলো। আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা আসলে আমার স্বামীকে অজ্ঞান অবস্থায় পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় ওখান থেকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইউনুস মিয়া বলেন, রাত দুইটার দিকে কবিরের স্ত্রীর চিৎকার শুনে আমরা বাপ বেটা দৌড়ে কবিরের বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি পপির বিছানায় রক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বিছানায় রক্তাক্ত এবং কিছু হাড়ের অংশ পাওয়া যায়।
কবিরের বাবা ফুল খান বলেন, আমার ছেলেকে এমন ভাবে কোপানো হয়েছে জানিনা বাচবে কিনা। আমরা আইনের আশ্রয় নিবো।
কালমেঘা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পিন্টু মুন্সি বলেন, আমরা ডাকাতির ঘটনা শোনা মাত্রই ওই বাড়িতে গিয়ে ডাকাতির আলামত পাওয়া যায়। কবিরের মাথায়, হাটুসহ একাধিক জায়গায় কোপানো হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
পাথরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন আত্ম ব্যক্তির মাথায় হাঁটু সহ একাধিক জায়গায় কোপানো হয়েছে তার অবস্থা গুরুতর। শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে।