নতুন আশায় ইলিশ শিকারে সমুদ্রে যাত্রা করেছে জেলেরা

জুলাই ২৩ ২০২৩, ১৮:৫৬

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। দীর্ঘ ৬৫ দিন বেকার সময় কাটিয়ে বুক ভড়া নতুন আশায় ইলিশ শিকারে সমুদ্রে যাত্রা করেছে জেলেরা। রবিবার সকাল থেকে মৎস্য বন্দর মহিপুর,আলীপুর আড়ৎ ঘাট থেকে কিছুক্ষণ পর পরই ইলিশের সন্ধানে একের পর এক মাছ ধরা ট্রলার ছুঁটছে বঙ্গোপসাগরে।

আবার অনেকে যাত্রার জন্য অপেক্ষাও করছে। কেউ ট্রলারের ওপর বসে মাছ ধরার জাল গুছিয়ে নিচ্ছেন। কেউ মাছ সংরক্ষণের জন্য ট্রলারে বরফ ভরছেন। কেউ কেউ চাল, তেল, তরকারি, জ্বালানিসহ কয়েক দিনের খাদ্যসামগ্রীও মজুত করছেন।

এমন দৃশ্য পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার শিববাড়িয়া নদী সহ বিভিন্ন পয়েন্টে। জানা গেছে, সামুদ্রিক মাছের বাঁধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষনে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মৎস্য আহরনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ।

নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ট্রলার, জাল মেরামত শেষ করেছে জেলে ও ট্রলার মালিকরা। দেড়-দু’সপ্তাহের খাদ্য সামগ্রীসহ মাছধরার উপকরন নিয়ে রবিবার সকাল থেকে দলবেঁধে গভীর সমুদ্রে যাত্রা করেছে সহস্ত্রাধিক ট্রলার।

এর ফলে কর্মচঞ্চল এখন জেলেপল্লীসহ দক্ষিনাঞ্চলের বৃহৎ মাছের মোকাম আলীপুর, মহিপুর ও কুয়াকাটর আড়ৎগুলোতে। বিগত বছরের মন্দা কাটিয়ে সাগরে মিলবে কাংখিত রুপালী ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ। এর ফলে ধার দেনা শোধসহ ফিরে আসবে দরিদ্র জেলে পরিবারে অর্থনৈতিক সাবলম্বী।

ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবে ট্রলার ও আড়ৎ মালিকরা এমন প্রত্যাশা তাদের। এদিকে ৬৫ দিনের মৎস্য আহরনে নিষেধাজ্ঞা দেশের জেলেরা পালন করলেও ভারতীয় জেলেরা দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে অবাধে মাছ শিকার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে জেলেদের।

জেলে করিম মুন্সী বলেন, সাগরে মাছ ধরার উপর টানা দুই মাস নিষেধাজ্ঞায় একে বারেই বেকার সময় কাটিয়েছি। বিগত বছর ইলিশের ভরা মৌসুমে মাছ না পেয়ে জেলেরা দেনাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এবার সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পরলে দায়দেনা শোধ করতে পারবে বলে তিনি জানান।

অপর এক জেলে মাঝি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় বাড়িতে একবারেই বসেছিলাম। মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তাই আজ কিংবা কাল সাগরে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরা জন্য যাত্রা করবো।

আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, টানা দুইমাস নিষেধাজ্ঞা শেষে মহিপুর-আলিপুর আড়ৎ ঘাট থেকে শত শত ট্রলার ইলিশ আহরণের জন্য গভীর সাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময় প্রশাসন তৎপর ছিল। নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলেকে ৮৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার করানে আগের চেয়ে সমুদ্রে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আমাদের ফেসবুক পাতা

আজকের আবহাওয়া

পুরাতন সংবাদ খুঁজুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০

এক্সক্লুসিভ আরও