স্কুলের চার পদে বানিজ্য কুড়িলাখ সব তথ্য জানেননা প্রধান শিক্ষক
জুলাই ২০ ২০২৩, ১৩:৩৪
জেলা প্রতিনিধি,ঝালকাঠি।। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার চরকেওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চার পদে চারজন কর্মচারী নিয়োগে সাড়ে কুড়ি লাখ টাকার অর্থ বানিজ্যের খবর পাওয়া গেছ। পদ গুলো হলো অফিস সহায়ক, নিরাপত্তাকর্মী, আয়া এবং পরিচ্ছতা কর্মী।
অর্থ লেনদেনকারীদের স্বজন, বিদ্যালয়ের গোপনসুত্র এবং চাকরী প্রত্যাশী অনেকেই বিষয়টি গনমাধ্যমের কাছে তথ্যটি ফাঁস করেছেন। এছাড়া কয়েকজন নিয়োগ প্রত্যাশী উপজেলা মধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ পত্রও দিয়েছেন।
স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল বারেক, মনিরউজ্জামান এবং ইয়াকুব আলী খান বলেন, ‘চরকেওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ দেয়া হবে সেটা এলাকাবাসী অনেক পূর্ব থেকেই জানতো। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিলেতো কেউ আবেদন করতে পারবে না। তাই বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশের অপেক্ষায় ছিল সবাই। কিন্তু পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে তা গোপন রাখেন স্কুল কমিটির সভাপতি মাসুদ আলম।’
গনমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুল সংশ্লিষ্ট অনেকেই জানান, ‘চার পদে নিয়োগ দিতে চারজনের কাছ থেকে কুড়ি লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা সভাপতি নিজে গ্রহন করেছেন। এই চারপদের প্রতিটি পদের অনুকুলে আরো তিনজন করে ডেমো প্রার্থীর আবেদন রাখা হয়েছে।’
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি এক সদস্য বলেন, ‘কমিটির সদস্যরা অনেকেই এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয় কিছুই জানেননা। আমাদের অনেকের বাড়ি বাড়ি রেজুলেশন খাতা পাঠিয়ে আগেই স্বাক্ষর নিয়ে নিয়েছেন সভাপতি মাসুদ আলম।’
নিয়োগ প্রত্যাশী ছিলেন স্থানীয় মোর্শেদা আক্তার। তার স্বামী মো. সোলায়মান জানান, ‘নানা বাড়ির জায়গার গাছ বিক্রি করে আয়া পদের জন্য সভাপতিকে টাকা দিয়েছিলাম। পরে অন্যের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে সভাপতি আমার কিছু টাকা ফেরত দিয়ে দেয়। এখনও কিছু টাকা সভাপতির প্যানেলের লোকের কাছে রয়ে গেছে।’
ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পারভিন সুলতানা জানান, নিয়োগের বিষয় আমি কিছুই জানিনা। পিয়ন বাড়ি পাঠিয়ে বিলপাশ ও উপস্থিতির কথা বলে স্বাক্ষর নিয়েছে।
বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কুশিয়ারা হামিদ বলেন, ‘চারটি পদে নিয়োগের জন্য আবেদন চেয়ে গত ১৪মে পত্রিকায় বিজ্ঞাপ্তি দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে ইচ্ছুক সবাইকে বিদ্যালয়ের ঠিকানায় আবেদন করতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার পদেই আবেদন পরেছে। তবে চার পদে কতটি আবেদন পরেছে তা আমি সঠিক জানিনা, কারন স্কুলের আলমিরার চাবি আমার কাছে নেই।’
ম্যানেজিং কমিটির অভিযুক্ত সভাপতি মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘নিয়োগ প্রকৃয়া চলমান রয়েছে। যদি কোন সমস্যা হয় তবে এই নিয়োগ বাতিল করে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয়টি মিথ্যা।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং লিখিত একটি অভিযোগ পত্রও পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে।









































