বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি ॥ প্রতিবছর ঝড় জলোচ্ছাসে আমরা তলিয়ে যাই। বিষখালী কেড়ে নেয় আবাদী জমি, বসতঘরসহ সহায় সম্বল সবটুকু। ইতিমধ্যে মধ্যে বিষখালীর করাল গ্রাসে বহু পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ্য হওয়ার পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামান্য কিছু সহায়তা নিয়ে আমাদের পাশে এসে দাড়ায়।
ত্রান নয় সিসি ব্লক দিন
জুন ১৪ ২০২৩, ১৮:৩৮
বুধবার (১৪ জুন) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে রামনা ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকার প্রায় শহস্ররাধীক ক্ষতিগ্রস্থ্ পরিবার এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রামনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জমাদ্দার, বামনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কবির আকন্দ দুলাল, বামনা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. রিয়াদুল কাদিরসহ স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের সদস্যরা।
জানাগেছে, প্রায় দুই যুগ ধরে বিষখালী নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে উত্তর রামনা গ্রামের শতাধিক পরিবার ভিটামাটি হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করেন। গত ২০-২১ অর্থ বছরে এখানের ভাঙ্গন রোধে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তাতেও ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
এখানের অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলীনের পথে রামনা হয়ে বরগুনা জেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি। দ্রুত ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এই সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, উত্তর রামনা গ্রামের ভাঙ্গন কবলিত এলাকাটি আমি পরিদর্শন করেছি। ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি প্রকল্প মন্ত্রনালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে শিঘ্রই কাজ শুরু হবে। তবে বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে এখানে ভাঙ্গন রোধে অস্থায়ী কিছু কাজ করা হবে।









































