‘বিনামূল্যে বই দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমে গেছে’
জানুয়ারি ০১ ২০২৩, ১৬:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদেরও স্মার্ট শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
আমরা ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছি তার মোট সংখ্যা হল ৪৩৪ কোটি ৪৫ লক্ষ ৮০ হাজার ২১২ কপি পৃথিবীতে কোন জায়গার জন্য একটি অচিন্তনীয় ব্যাপার। বিনামূল্যে বই দেওয়ার ফলে আমাদের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমে গেছে।
রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ এ পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক।
বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপ মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওমর ফারুক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন মোল্লা, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান প্রমুখ।
এ উৎসব পালনে প্রতিবছর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য সারাদেশে চার কোটি নয় লক্ষ পনের হাজার তিনশত একাশি জন শিক্ষার্থীর হাতে মোট তেত্রিশ কোটি আটচল্লিশ লক্ষ আটাত্তর হাজার আটশত তেত্রিশটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, গাজীপুর জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ছয় লক্ষ বার হাজার তিনশত একান্ন জন শিক্ষার্থীদের হাতে মোট পঁচিশ লক্ষ চল্লিশ হাজার দুইশত চৌত্রিশটি পাঠ্যপুস্তক, মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ছয় লক্ষ বিরানব্বই হাজার সাতশত ত্রিশ জন শিক্ষার্থীদের হাতে মোট সাতাশি লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার ছয়শত ঊননব্বইটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।
পরে মন্ত্রী কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বছরের নতুন বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
সারাদেশে মোট ৪,০৯,১৫,৩৮১ (চার কোটি নয় লক্ষ পনের হাজার তিনশত একাশি) জন শিক্ষার্থীর হাতে মোট ৩৩,৪৮,৭৮,৮৩৩ (তেত্রিশ কোটি আটচল্লিশ লক্ষ আটাত্তর হাজার আটশত তেত্রিশ) টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে।
গাজীপুর জেলার প্রাথমিক পর্যায়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৬,১২,৩৫১ (ছয় লক্ষ বার হাজার তিনশত একান্ন) জন শিক্ষার্থীদের হাতে মোট ২৫,৪০,২৩৪ (পঁচিশ লক্ষ চল্লিশ হাজার দুইশত চৌত্রিশ) টি পাঠ্যপুস্তক, মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৬,৯২,৭৩০ (ছয় লক্ষ বিরানব্বই হাজার সাতশত ত্রিশ) জন শিক্ষার্থীদের হাতে মোট ৮৭,৭৬,৬৮৯ (সাতাশি লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার ছয়শত ঊননব্বই) টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে।









































