দেশে দেশে বর্ষবরণ: আতশবাজির উল্লাসে মাতোয়ারা বিশ্ব
জানুয়ারি ০১ ২০২৩, ০২:১২
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: করোনাভাইরাসের প্রকোপ ব্যাপকভাবে কমে আসার পর এবার জমজমাট উদযাপনে নতুন বছরকে বরণ করছে বিশ্ব। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বিকালেই সামোয়া, নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া নতুন বছরকে বরণ করেছে।
আন্তর্জাতিক মান সময়ের তারতম্যের কারণে নতুন বছরকে আগে বরণ করার সুযোগ পায় তারা। শনিবার রাতে যখন এই প্রতিবেদন লেখা হয়, তখন অন্যরাও নিচ্ছে বরণের প্রস্তুতি। খবর বিবিসি, আলজাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ানের।
নতুন বছর উদযাপনের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় শহর অকল্যান্ডের স্কাই টাওয়ারে আতশবাজির ঝলকানি চলছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ এই উদযাপনে অংশ নিয়েছেন।
কোভিড বিধি-নিষেধের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে নতুন বর্ষবরণে যোগ দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দারা। আর অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নতুন বছরের উদযাপন বরাবরের মতো জমকালো আয়োজনে শুরু হয়েছে।
সিডনি বন্দরে আতশবাজি ফুটিয়ে নতুন বছর উদযাপন করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সিডনির অপেরা হাউসের আকাশে আতশবাজির ঝলকানি রীতিমতো রঙিন করে তুলেছে আকাশকে।
সিডনির পাশাপাশি নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির কুইন্সল্যান্ড প্রদেশও। বাংলাদেশ সময় ৮টার দিকে এই শহরে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেওয়া হয়েছে আতশবাজির আলোর বিচ্ছুরণে। পুরো কুইন্সল্যান্ড যেন এক আলোকসজ্জার নগরীতে রূপ নিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আনন্দ-উল্লাসে ২০২৩ সালকে বরণ করে নিয়েছেন।
বর্ষবরণের প্রস্তুতি যে জমকালোভাবেই নেওয়া হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে পূর্ণ সক্ষমতায় নববর্ষ উদযাপন যজ্ঞ দেখে। এই শহরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, দুই বছরের বিরতির পর এবারই প্রথমবারের মতো টাইমস স্কয়ারে পূর্ণ ধারণক্ষমতায় লোকজন সমবেত হবেন। আর সেখানে নববর্ষের প্রাক্কালে বার্ষিক আলোর ঝলকানি ও আনন্দ উৎসবে মেতে উঠবেন তারা।
গত বছর সীমিত পরিসরে মাত্র ১৫ হাজার মানুষকে টাইমস স্কয়ারে সমবেত হয়ে নববর্ষ উদযাপনের অনুমতি দেওয়া হলেও এবারে লোকজনের উপস্থিতির সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
প্রায় ২ হাজার ৭০০টি ওয়াটারফোর্ড স্বচ্ছ কাচের তৈরি একটি বল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় টাইমস স্কয়ারের শীর্ষে রাখা হবে। মধ্যরাতে প্রায় এক মিনিটের মতো সেই বলে চলবে আলোর ঝলকানি।
টাইমস স্কয়ারে নববর্ষ উদযাপনে মেতে উঠতে ইতিমধ্যে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে শুরু করেছেন। নিউইয়র্ক শহর কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক বছর নববর্ষ উদযাপনের জন্য একটি নতুন থিম বেছে নেয়।
তারই ধারাবাহিকতায় এবারের নতুন বছরের থিম ‘ভালোবাসার উপহার’। ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের নতুন বছর বরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন সেখানকার হাজার হাজার বাসিন্দা। বালির দেনপাসারের একটি প্রধান সড়কে নববর্ষের সন্ধ্যায় নৃত্যশিল্পীদের নাচ পরিবেশ করতে দেখা গেছে।
প্রতিবেশী ভারতের অমৃতসরেও নতুন বছর বরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে লোকজন রাস্তায় নেমে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন।
নববর্ষ উদযাপনে সুইজারল্যান্ডেও শুরু হয়েছে জমকালো সব অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যে দেশটির প্রান্তে লোকজন নতুন বছর ঘিরে উদযাপনে অংশ নিয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের মুসিডর্ফের মুসি হ্রদে ঐতিহ্যবাহী সিলভেস্টার সাঁতার কাটতে দেখা যায় লোকজনকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের আর কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হবে বর্ষবরণের উদযাপন। কিন্তু তার আগে সিউলের রাস্তা, অলিগলি আর অভিজাত এলাকায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষের ঢল।









































