গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়: প্রধানমন্ত্রী
ডিসেম্বর ১৭ ২০২২, ২৩:০৭
ডেস্ক প্রতিবেদক ॥ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণ করেছে। বৈশ্বিক করোনা ও অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’
প্রধানমন্ত্রী গণভবনে শনিবার আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? নাকি যারা এই কথা বলেন তাদের ভালো লাগে জরুরি অবস্থার সরকার, সামরিক শাসক। যেন তাদের একটু দাম বাড়ে, খোশামোদি-তোষামোদি করে। ওইটুকু পাওয়ার লোভে… ব্যক্তি স্বার্থের জন্য তারা দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই ধ্বংস করতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বচ্ছ ব্যালেট বাক্স, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা, জনগণের ভোট দেয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে কে? আওয়ামী লীগ সরকার।’ ভুয়া ভোটার তালিকা দিয়ে ভোট করা মানে হলো ভোট চুরির চেষ্টা করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ওটাই তাদের কাছে গণতন্ত্র। জনগণের ভোট চুরি, অর্থ চুরি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, এগুলো থাকলেই তাদের কাছে গণতন্ত্র। না হলে গণতন্ত্র খুঁজতে যাবে কেন তারা?’ তিনি বলেন, ‘এক এগারোর সরকার আন্তর্জাতিক চাপ ও দেশের মানুষের আন্দোলনের কারণে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সব সময় একই প্যারালালে নিয়ে আসা হতো। কিন্তু আওয়ামী লীগের শক্তি যে দেশের জনগণ এটা অনেকেই ধারণাই করতে পারেনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ফলাফল কী? বিএনপি পেয়েছিল ৩০টা সিট (আসন)। এটা সবার মনে রাখা উচিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি পায়। তাহলে পরবর্তী ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোন মুখে প্রশ্ন তোলে।’ তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নতি হয়েছে। আমি জানি না যারা এখনো গণতন্ত্রের খোঁজ করেন, মনে হয় যেন দুরনিন দিয়ে ওনারা গণতন্ত্র দেখতেছেন।’
আওয়ামী লীগ বাদ দিয়ে সেনাশাসকের পকেট থেকে গঠিত বিএনপি বা জাতীয় পার্টিতে গণতন্ত্রের চর্চা আছে নাকি তা জানতে চান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘একমাত্র আওয়ামী লীগই গঠনতন্ত্র মেনে সংগঠন করে। এখন পর্যন্ত গঠনতন্ত্র আমরা অনুসরণ করি। কিন্তু আর কোনো দল, বিশেষ করে সামরিক শাসকদের পকেট থেকে তৈরি হওয়া দলে সেটা পাবেন না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু মানুষ যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী, জ্ঞানী-গুণী বলে পরিচয় দেন, তাদের মুখেও শুনি গণতন্ত্র নাকি আনতে হবে দেশে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সামরিক শাসকরা মার্শাল ল দিয়ে রাষ্ট্র চালিয়েছিল, সেটাকেই কি তারা গণতন্ত্র বলতে চান নাকি? ওইটাই কি গণতান্ত্রিক ধারা? তারা কি খোলাসা করে সেটা বলতে পারেন? সেটা তো করেন না।’
করোনা মোকাবিলায় সরকার পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় ত্বরিত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘অনেক সময় আমি মোবাইল ফোনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বলেছি ফাইল পরে পাঠাও আগে মানুষ বাঁচাও। আমার কাছে মানুষ বাঁচানোটাই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেন। দুর্নীতি খোঁজেন।’









































