ন্যায়ের পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রসুলের দেখানো পথেই-তারেক রহমান
সেপ্টেম্বর ০৫ ২০২৫, ১৫:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহ রাব্বুল আ-লামিনের নিকট প্রার্থনা করি, মহানবির শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি।’
বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাণীটি পাঠান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী, এই দিনটি মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর দুনিয়াতে আগমণের আনন্দ ও তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। যিনি মানবজাতিকে পরিশোধন করেন এবং তাদের সর্বশেষ্ঠ গ্রন্থ কুরআন ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। পৃথিবীতে সৃষ্টির সেরা মানব বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর আগমণ দিবস মর্যাদাবান, গুরুত্ববহ এবং আনন্দের। আল্লাহর প্রতি ইমান ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবির ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন আজ।’
‘তিনি সারা বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ, আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সবথেকে বড় উপহার বা এহসান। আল্লাহ তায়ালা তাকে দিয়েছেন মহিমান্বিত মর্যাদা। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগৎ ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে। হজরত মুহম্মদ (স.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি আলোকিত বিস্ময়। মানবজাতি তাঁর আগমণে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সমস্ত অন্যায়-অবিচার, কুসংস্কার, নিপীড়ন-নির্যাতন এবং বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিস্কৃতি লাভের সন্ধান পায়। সে জন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।’
তারেক রহমান বলেন, ‘মানুষ ন্যায় ও সৎ পথে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে রসুলের দেখানো পথে। নিজ যোগ্যতা, সততা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, আত্মপ্রত্যয়, অসীম সাহস, ধৈর্য, সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও অপরিসীম দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে তিনি তার ওপর অবতীর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের বাণী তথা তওহিদ প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করেন। অন্ধকারের যুগ তথা আইয়ামে জাহেলিয়াতের আমলে আইন, বিচার ও প্রশাসনসহ সর্বক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যভিচার-অনাচারের অরাজকতা বিরাজমান ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সময় যাঁর আগমণ হয়েছিল তিনি হলেন রহমাতুল্লিল আ-লামিন। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দুরীভূত করে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমে সত্য, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সমাজে অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও দুঃখী মানুষের সেবা, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, পরমতসহিষ্ণুতা, দয়া ও ক্ষমা গুণ, শিশুদের প্রতি দায়িত্ব এবং নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মহানবি (স.)-এর আদর্শ অতুলনীয় এবং তাই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে স্বীকৃত।’









































