বরিশাল সদর-৫ আসন
বিএনপিতে বিভক্তি, সুযোগ নিতে চায় ইসলামী দলগুলো
অক্টোবর ৩১ ২০২৫, ১৬:৪৯
আরিফ হোসেন ॥ ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভক্ত রাজনৈতিক দল বরিশাল মহানগর বিএনপি-সুযোগ নিতে চায় ইসলামী দলগুলো। ইতি মধ্যে বরিশাল সদর-৫ আসনে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও বাসদসহ অন্য দলের প্রার্থীরা ব্যাপক গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। যে যার মত কৌশলে ভোটের মাঠ দখলে রাখার চেষ্টা করছেন।
তবে অধিকাংশ দলের প্রার্থী চূড়ান্ত প্রায় শেষের দিকে। শুধু দল গুলোর মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণার বাকি। এদিকে দলের মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যেই নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগসহ দলের হাইকমান্ডে চালাচ্ছেন জোর লবিং। এমনকি মনোনয়ন নিশ্চিত করতে অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন লন্ডনে। তবে দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ভাবিয়ে তুলেছে মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীদের। বিএনপির এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে সৃষ্ট বিভক্তির সুযোগ নিতে চাইছে জামায়াতে ইসলামী সহ জামায়াতে ইসলামী দল গুলো। এরই মধ্যে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে ।
* চার ভাগে বিভক্ত বরিশাল মহানগর বিএনপি
*কয়েক দফা বৈঠকেও ঐক্য হতে পারেনি বিএনপির নেতাকর্মীরা* ভোটের প্রচারে জামায়েতের ভিন্ন কৌশল
* বিএনপি নেতাদের বাড়িতে মহিলা জামায়াতের তালিম
* নারী ভোটারদের টানতে জামায়াতের বিশেষ কৌশল
দীর্ঘ বছর ধরে বরিশালের ভোটের মাঠ বিএনপির দখলে থাকলেও এবার বরিশাল সদর-৫ আসন ৪ ভাগে বিভক্ত হয়েছে। বিএনপির মাঠ দখলের সুযোগ নিতে চায় ইসলামী দলগুলো।
প্রায় ৩/৪ মাস ধরে দেখা যাচ্ছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশাল সদর-৫ আসনে বিএনপি-জামাত-ইসলামী আন্দোলন ও বাসদসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। অধিকাংশ দলের প্রার্থী চুড়ান্ত হলেও সর্বববৃহৎ দল হিসেবে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর নাম এখনো ঘোষনা হয়নি। কবে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা বলছেন খুব শিগ্ররই বিএনপির প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করা হবে। তবে এবার প্রার্থীদের মতে চমকও থাকতে পারে বলে ধারনা করছেন না।
দলের মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যেই নিজ নিজ এলাকায় কৌশলে ব্যাপক গণসংযোগসহ দলীয় হাই কমান্ডে চালাচ্ছেন ব্যাপক লবিং তদবির। এমনকি মনোনয়ন নিশ্চিত করতে অনেকেই যোগাযোগ করছেন সুদুর লন্ডনে। তবে দলীয় আভ্যন্তরিন কোন্দল ভাবিয়ে তুলেছে মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীদের।
দীর্ঘ দিন ধরে ৪ ভাগে বিভক্ত বরিশাল মহানগর বিএনপি নেতা কর্মীদের ঐক্যবন্ধ করা যেমন কঠিন হবে তেমনি দলের মনোনয়ন পাওয়া নেতার পক্ষে নির্ববাচনী মাঠ গোছানো হবে আরো কঠিন। বিএনপির নেতৃত্বের এমন হযবরল অবস্থায় ভোটের মাঠ দলের সুযোগ নিতে চচ্ছে ইসলামী দলগুলো।
বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ইমলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ ব্যানারে নির্ববাচন করলে বরিশাল সদর-৫ আসনটি বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল।
জামায়াতের বিশেষ কৌশল চলছে নারী ভোটারদের টানতে ॥
বসে নেই জামায়াতের নারী বিভাগের কর্মী ও নেত্রীরাও চালাচ্ছেন ভোটের প্রচারণা। ইসলামি সভার মাধ্যমে বাড়িতে হয় নারীদের জমায়েত। সেই জমায়েতে ধর্মীয় আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে চলে ভোটের প্রচার। প্রচারণার এই কৌশলে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, নারী ভোটাররাই প্রধান টার্গেট জামায়াতে ইসলামীর। এই টার্গেটে বহু আগে থেকেই চলছে কার্যক্রম। ফলে নারীদের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে তাদের ভোট। বিপরীতে পিছিয়ে পড়ছে বিএনপিসহ অন্য দলগুলো। নারী ভোটারদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বী আর আওয়ামী লীগের ভোট বাগাতেও কাজ করছে জামায়াত। একই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে জানমাল রক্ষার প্রতিশ্রুতি। শুধু বরিশাল সদর-৫ আসনটিই নয় অন্যান্য এলাকায়ও জামায়াতে আস্থা রাখতে প্রচারনা চালাচ্ছে নেতাকর্মীরা।
বরিশাল সদর-৫ আসনটি বরিশালের সবচেয়ে মর্যদার আসন হিসেবেই ধরা হয়। যুগ যুগ ধরেই এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৭৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বরিশাল সদর-৫ আসনে কখনোই জয় পায়নি আওয়ামী লীগ। সাবেক রাস্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস এ আসনে বিএনপির টিকিটে সংসদ সদস্য নির্ববাচিত হয়েছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতির মৃত্যুর পর মহানগর বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ার হাল ধরেন বরিশাল বিএনপির। তার একক নেতৃত্ব বরিশাল ছিলো বিএনপির অন্যতম দূর্গ।
তবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যার্থতা, দলে একক আধিপত্য ও স্বজনপ্রীতিসহ নানান কারনে সরোয়ারের বলয় থেকে বেড়িয়ে গেছেন প্রভাবশালী বিএনপি নেতারা। ইতিমধ্যেই মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিজ্জামান খান ফারুক, সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার জিয়া, মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ ও মহানগর বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সরোয়ারের বলয় থেকে বেড়িয়ে নিজস্ব বলয় তৈরী করেছেন।
এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য ও এক সময়ের তুখোর নেত্রী এ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন দীর্ঘ দিন পূর্বে সরোয়ারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজস্ব রাজনৈতিক বলয় তৈরী করেছেন।
এর আগে তিনি সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের বলয়ে ছিলেন। এছাড়া অনেক ত্যাগী ও রাজনীতিতে পোড় খাওয়া নেতা কর্মি রাজনীতিতে রয়েছেন নিস্কৃয়। বর্তমানে বরিশাল বিএনপিতে ৪টি সক্রিয় গ্রুপ ও একাধিক উপগ্রুপ থাকায় অনেকটা হযবরল অবস্থায় রয়েছে বিএনপির সাংগঠনিক ভীত। যে কারনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের পর প্রার্থীর উপর দলীয় কোন্দলের প্রভাব ফেলবে আাগমী সংসদ নির্বাচনে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, বরিশাল সদর-৫ আসন থেকে প্রর্থী বাছাইয়ে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি কমিটির অন্যতম সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান খান ফারুক কেন্দ্রের ডাকে সাক্ষাৎকার দিয়ে এসেছেন।
এর বাইরে এ আসন থেকে প্রার্থী হতে মরিয়া বিএনপির চেয়ারপার্সনের আরেক উপদেষ্টা এ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (পদ স্থগিত) এ্যাড. বিলকিস আক্তার জাহান শিরীন, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা এবায়েদুল হক চাঁন, জেলা দক্ষিন বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. আবুল কালাম শাহিন ও মহানগর বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
ইতিমধ্যে এসব প্রার্থীরা নির্ববাচনী গণসংযোগে মাঠে রয়েছেন। তবে বিএনপি নেতা কর্মীদের আভ্যন্তরিন কোন্দল ও গ্রুপিংএ অনেকটা বিপর্যস্ত বিএনপি। আসন্ন নির্বাচনে মহানগরের বর্তমান ও সাবেক র্শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের যাকেই দলীয় মনোনয় দেয়া হোক ঐক্যবদ্ধ বিএনপির প্রশ্নে বিএনপির নেতা কর্মিরা কতটা এক হতে পারবে সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সব মহলেই।
এদিকে বিএনপির আভ্যন্তরিন কোন্দলকে কাজে লাগাতে চাইছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থীরা। এ অসনে আরো ৬ মাস পূর্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ সেক্রেটারী জেলারেল আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ইতিমধ্যেই তারা নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এমনকি প্রতিটি কেন্দ্র পাহাড়া দেওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে স্ব-স্ব এলাকায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রায় প্রতিনিয়তই এসব কমিটির সদস্যদের নিয়ে মিটিং করছে দলটির শীর্ষ নেতারা। পাশাপাশি প্রকাশ্যে ও গোপনে গোপনে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন দলীয় নেতা কর্মীরা। বিএনপি নেতারা যখন দলীয় মনোনয় নিয়ে দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন ঠিক তখনই ভোটকেন্দ্র সুরক্ষিত রাখতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন জামাত নেতারা।
তবে আসনটিতে বসে নেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রর্থী চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়ত মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তিনিও গনসংযোগের পাশাপাশি দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একের পর এক বৈঠক ও সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন।
এছাড়া পরপর সিটি কর্পোরেশনের দুটি নির্ববাচনে অংশ নিয়ে নিজের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছিলেন ফয়জুল করিম। তবে ইসলামীক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে জোটগতভাবে নির্ববাচন করলে বরিশাল সদর-৫ আসনে পাল্টে যেতে পারে সকল হিসেব নিকেশ। কেননা বরিশাল মহানগরী এলাকায় জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভোটার সংখ্যা নেতাহ কম নয়।
হাসিনার আমলে ভোট ডাকাতির সিটি নির্বাচনে তীব্র প্রতিরোধের পরও ৩৫ হাজার ভোট পেয়েছিলেন ফয়জুল করিম। এছাড়া আওয়ামী লীগের ভোটারদের দলে টানতে চাইছেন জামাত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতারা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিদের নিজস্ব বলয়ে টানার পাশাপাশি বিএনপির আভ্যন্তরিন গ্রুপিং ও বিরোধকে কাজে লাগাতে পারে এ দল দুটি। এছাড়া বরিশাল সদর-৫ আসনে বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্ত্তী এ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নানান কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নগরবাসীর কাছে অনেকটা সুপরিচিত মুখ তিনি।
এ বিষয়ে বরিশালের আইনজীবি ও জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাফিজ আহম্মেদ বাবলু সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দলীয় শীর্ষ নেতাদের পছন্দের তালিকার পাশাপাশি সংসদীয় এলাকায় জনপ্রিয়তায় উঠে এসেছে সর্বেবাচ্চ দুই বা তিন জনের নাম। এদের মধ্যে যে কেউ মনোনয়ন পাবেন এমনটা নিশ্চিত তৃনমুলের নেতা কর্মীদের। তবে বসন্তের কোকিল নয়,যারা দলের দূর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, খোঁজ খবর নিয়েছেন তাদের মতো ত্যাগী ও কর্মীবান্ধব নেতাদের সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চান নেতা কর্মীরা।
বরিশাল সদর-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য আবু নাছের রহমাতুল্লাহ বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে এ আসনে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তৃনমূলের নেতা কর্মীরা তার সাথে আছেন। দল মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটের ব্যাবধানে বিজয়ী হবেন বলে আশা করেন। কারন বরিশালের মানুষ নতুন মুখ দেখতে চায়। ইতিমধ্যে মানুষের মনের জায়গা করে নিয়েছে বলেও তিনি আশা করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলনে রাজপথে থাকাসহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৭ বছর রাজপথে ছিলেন। পুলিশি হামলা মামলা ও জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন,মনোনয়ন দলের সিন্ধান্তের বিষয়। তবে তিনি চান বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে যারা রাজপথে ছিলেন যারা দলে জন্য নিবেদিত প্রান তাদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হোক। তবে অব্যশই তরুন নেতৃত্ব আসা দরকার। তিনি আশাবাদী দল তার ত্যাগের মূল্যায়ন করবে।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা এ্যাডভোটেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, তার পৈত্রিক বাড়ী বরিশাল নগরীতে। তাই আসন্ন নির্ববাচনে তিনি এ আনস থেকে মনোনয়ন চাইবেন। দল মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে তিনি বিজয়ী হবেন।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, বরিশাল বিএনপির অন্যতম ঘাটি। দলেীয় কোন্দল থাকলেও নির্বাচনে কোন বিএনপি নেতা কর্মি দলের বাইরে ভোট দিবেন না। তিনি আশাবাদী দল তাকে এ আসন থেকে মনোনয়ন দিবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ-সেক্রেটারী ও বরিশাল-৫ আসনের জামাতের মনোনিত প্রার্থী এ্যাড. মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল বলেন,দীর্ঘ দিন ধরে তিনি নির্ববাচনী মাঠে আছেন। ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের মাধ্যমেই সে পরিবর্তন আসুক এমন প্রত্যাশা সাধারন মানুষের। তিনি আশাবাদী আগামী সংসদ নির্ববাচনে জনগন বিপুল ভোটের মাধ্যমে তাকে বিজয়ী করবে।
বরিশালে ভোটের প্রচারে ভিন্ন কৌশলে হঠাৎ বিএনপি নেতাদের বাড়িতে মহিলা জামায়াতের তালিম হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর বরিশাল মহানগর আমির জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘১৭ বছর আগে থেকে আমাদের মহিলা বিভাগের এই তালিম চলছে। সেখানে ইসলাম আর কুরআন-হাদিস নিয়ে আলোচনা করেন নারীরা।’ এসব তালিমে ভোটের প্রচার হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কিংবা ভোট কি ইসলামের বাইরে? জীবনবিধানের সবকিছুই তো ইসলামের অন্তর্গত। আমরা যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল, তাই আমাদের তালিমে ইসলামের পাশাপাশি ভোটের প্রচার চলবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। তবে মসজিদ ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রচারণার যে অভিযোগ, তা সঠিক না। আমরা মসজিদকে ব্যবহার করে কখনোই রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনা করি না।’
বিএনপির দলের কেন্দ্রীয় এক নেতা সাথে নির্বাচনের বিষয় নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, এবার মনোনয়নের বিষয়টি সরাসরি মনিটরিং করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিন মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে সব নির্বাচনি এলাকার মাঠপর্যায়ের রিপোর্ট। ওই রিপোর্টের সঙ্গে সাংগঠনিক টিমের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি। যে কারণে আগের মতো দলের হাই প্রোফাইল নেতাদের পেছনে ছুটে কোনো লাভ হচ্ছে না কারও। আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা আর জনপ্রিয়তায় প্রথম সারিতে থাকা, ২০১৮-র নির্বাচনে যারা মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় ছিলেন এমন নেতারাই ডাক পেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে। সবার সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ধারণা করা হচ্ছে, এ বৈঠকের পর শুরু হবে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দেওয়ার কাজ। চলতি মাসের শেষ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ওই সংকেত পাবেন দক্ষিণাঞ্চলের প্রার্থীরা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, নির্বাচনের এই বৈঠকটি একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। বিএনপির মতো বড় একটি দলে সংসদ-সদস্য নির্বাচন করার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন নেতা প্রতিটি আসনেই গড়ে ৪-৫ জন করে রয়েছেন। মনোনয়ন চাইলেই যেমন সবাই পাবেন না, তেমনি দলেরও তো একটি পদ্ধতি রয়েছে। বৈঠকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের জন্য দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মনোনয়ন চাওয়া কিংবা এমপি হওয়া বড় কথা নয়, আমাদের সবার একটাই লক্ষ্য, ধানের শীষের বিজয়।









































